স্টাফ রিপোর্টার : আগামী জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া মন্ত্রীরা নিরাপত্তা ছাড়া আর কোনো সরকারি সুযোগ সুবিধা নেবেন না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এমনকি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গাড়িতে জাতীয় পতাকা নেবেন না।

সোমবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলোচনার সময় এক প্রশ্নে এ কথা বলেন ক্ষমতাসীন দলের নেতা।

আদালতের রায়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের পর দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের বিধান ফিরিয়ে আনা হয়েছে আওয়ামী লীগের আগের আমলে। আর এতে বিরোধী দলগুলোর নেতারা দাবি করছেন, তারা ভোটে সমান সুযোগ পাবেন না। মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যরা সরকারি নানা সুবিধা দিয়ে ভোটে প্রভাব বিস্তার করবে।

গত ১ নভেম্বর আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী তথা সরকারি দলের সঙ্গে সংলাপে সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্বাচনের বিষয়ে গুরুত্ব দেয় বিএনপির নতুন জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। যদিও আওয়ামী লীগ সেটা নাকচ করেছেন।

মন্ত্রীরা ভোটের সময় বাড়তি কোনো সুবিধা পাবেন কি না- এমন প্রশ্নে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড হবে। সেটাতো আমরা বলেছি। আমরা কোন মন্ত্রী সরকারি কোন সুযোগ সুবিধা নেব না। এমনকি মন্ত্রীরা ফ্লাগ (গাড়িতে পতাকা) ইউজ করবে না। তবে নিরাপত্তার বিষয়টি ব্যতিক্রম। কারণ একজন মন্ত্রীর নিরাপত্তার বিষয় থাকে। সেটা থাকবে।’

‘প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও নিরাপত্তার বিষয় থাকবে। কারণ মন্ত্রীরা ফ্লাগ নিয়ে গেলে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড থাকে না।’

প্রধানমন্ত্রী কী কী সুবিধা নেবেন?-এমন প্রশ্নের জবাবে সড়ক মন্ত্রী বলেন, “তিনি (প্রধানমন্ত্রী) বলেছেন, ‘আমি ফ্লাগ নিয়ে এলাকায় যাব না’। তবে দলীয় পতাকা নিয়ে যাবেন উনি।”

বাকি বিষয়গুলো ৮ তারিখে ভোটের তফসিল ঘোষণার পর পরিস্কার হবে বলেও জানান কাদের।

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার প্যারোলে মুক্তির বিষয়টি নিয়ে নতুন যে আলোচনা তৈরি হয়েছে, সেটি কতটা আগাল- এমন প্রশ্নও ছিল সাংবাদিকদের। জবাবে কাদের বলেন, ‘দেখুন বিএনপি কি কখনও বেগম জিয়ার মুক্তি চেয়েছে? এটা তো আপনারা (সাংবাদিক) তুলছেন। আর প্যারোলে মুক্তি নিয়ে কি নির্বাচন করা যায়? অথবা বিদেশে চিকিৎসার জন্য চিকিৎসক বললে তাহলে প্যারোলে মুক্তি দেওয়ার প্রশ্ন আসতে পারে। কিন্তু সে অবস্থা নেই। তাহলে প্যারোলে মুক্তির বিষয় কেন?

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ জেলে থেকেও নির্বাচন করেছিলেন। খালেদা জিয়াও তা পারবেন কি না এমন প্রশ্নে- জবাব আসে, ‘সেটা প্রধান বিচারপতির কাছে জিজ্ঞাসা করুন। খালেদা জিয়া এতোগুলো মামলায় সাঁজার পর নির্বাচন করতে পারবেন কিনা এটা আদালত সিদ্ধান্ত দেবে।’

নির্বাচন যথাসময়ে হবে কি না জানতে চাইলে কাদের বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন যেদিন নির্বাচন দেবে সেদিনই নির্বাচন হবে।’

(ওএস/এসপি/নভেম্বর ০৫, ২০১৮)