স্টাফ রিপোর্টার : নব্বই দশকের নন্দিত অভিনেত্রী শমী কায়সারকে এখন আর টিভি পর্দায় দেখা যায় না বললেই চলে। অভিনয় থেকে অনেকটাই দূরে তিনি। ব্যবসা নিয়ে নানারকমের ব্যস্ততায় দিন কাটে তার।

ব্যবসায়িক সংগঠন এফবিসিসিআইর পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন খ্যাতিমান এ অভিনেত্রী, প্রযোজক ও নির্মাতা। পাশাপাশি তিনি আওয়ামী লীগের হয়েও কাজ করে যাচ্ছেন অনেকদিন ধরে।

আসন্ন সংসদ নির্বাচনে ফেনী-৩ আসন থেকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থী হবেন তিনি সেই খবরও বেশ পুরনো। এরই মধ্যে নিয়েছেন জোর প্রস্তুতি।

সময় খুব কম। আসছে ডিসেম্বরেই নির্বাচন। নির্বাচনের প্রচারণা শুরু হয়েছে চারদিকে। মাঠে নেমেছেন শমী কায়সারও। কিছুদিন আগে প্রচারণার জন্য ফেনীর সোনাগাজীর নবাবপুর গ্রাম থেকে ঘুরে এসেছেন তিনি।

শমী কায়সার বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শে মানুষ হয়েছি। সেই আদর্শ বুকে নিয়েই আওয়ামী লীগের সঙ্গে যুক্ত হয়েছি অনেক আগে থেকেই। এবার মানুষের জন্য কিছু করতে চাই। সেজন্য আওয়ামী লীগের হয়ে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি।’

তিনি বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা যদি যোগ্য মনে করেন তাহলে তাকে নির্বাচনে অংশ নেয়ার টিকিট দেবেন। এরই মধ্যে নাকি মনোনয়নের ব্যাপারে শমীকে সবুজ সংকেতও দিয়েছেন নেত্রী। তবে নির্বাচনের আগ মুহূর্তে অনেক কিছুই হতে পারে। সে যাই হোক, দলের স্বার্থে কাজ করে যাবেন এই অভিনেত্রী।

শমী কায়সার বলেন, ‘আমার মা ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য এবং আমার বাবা ছিলেন একজন বুদ্ধিজীবী। তারা দেশকে যেভাবে ভালোবাসা দিয়েছেন আমি হয়তো সেভাবে দিতে পারব না। তবে তার কিছুটা উপলব্ধি করে নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের পাশে দাঁড়াতে চাই। আর এ বিষয়গুলো চিন্তা করেই নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার জন্য মনোনয়ন চেয়েছি।’

যোগ করে শমী কায়সার আরও বলেন, ‘জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিজের মধ্যে ধারণ করে আওয়ামী লীগের হয়ে রাজনীতি করতে চাই।’

বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নের জন্য আওয়ামী লীগের আরও অনেক সময় ক্ষমতায় থাকা প্রয়োজন বলে মনে করেন এই অভিনেত্রী।

(ওএস/এসপি/নভেম্বর ০৫, ২০১৮)