জোটন চন্দ্র ঘোষ, হালুয়াঘাট : ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আলমগীর পিপিএম নিজে পিতা সেজে কন্যা সন্তানের বিয়ে দিলেন ।

৪ নভেম্বার সন্ধারাতে উপজেলার নড়াইল ইউনিয়নের কুমুরিয়া নয়াপাড়া গ্রামের নূরুল ইসলামের পুত্র জুবায়েল হোসেনের নিকট একই গ্রামের দীর্ঘ ১৮ বছর যাবত পালিত পিতা রফিকুল ইসলাম এর পক্ষ হয়ে পিতার কর্তব্য পালন করার জন্য নার্গিস আক্তার কে তিন লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা দেন মোহর ধার্য্য করে ধর্মীয় বিধান মোতাবেক বিয়ে দেন।

বিয়ের যাবতীয় তৈজসপত্র, আসবাবপত্রসহ বিয়ের কাপড় চোপর ও যাবতীয় খরচ বহন করেন এএসপি আলমগীর ও হালুয়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম তালুকদার। বিয়ে অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে আর্শীবাদ স্বরুপ নগদ ২ হাজার টাকা উপহার প্রদান করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন।

এ সময় পৌর মেয়র খায়রুল আলম ভূঞা নগদ পাঁচ হাজার টাকা ও ধারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদ বিল্পব পাঁচ হাজার টাকা সর্বমোট বার হাজার টাকা প্রদান করেন। উকিল শ্বশুর হিসেবে মেয়েটির দ্বায়িত্ব নেন নড়াইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম।

জানা যায়, উপজেলার নড়াইল ইউনিয়নের নয়াপাড়া গ্রামের পালিত পিতা রফিকুল ইসলাম দীর্ঘ ১৮ বছর যাবত এতিম শিশুটিকে নিজের কন্যা হিসেবে (নার্গিস আক্তারকে) লালন পালন করে আসছেন। সম্প্রতি মেয়েটি জুবায়েল হোসেনের প্রেমে সাড়া দিয়ে ঘর ছেড়ে ঢাকায় পাড়ি দিয়ে ছিলেন। তারপর মেয়েটির সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে জুবায়েল অন্যত্র সংসার করার চেষ্টায় লিপ্ত থাকে। মেয়েটি হালুয়াঘাট সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপারের নিকট তার জীবনের ঘটে যাওয়া ঘটনাটি জানিয়ে প্রতিকারের আশায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

তার ধারাবাহিকতায় উভয় পক্ষকে ডেকে আলোচনা সাপেক্ষে মেয়েটির পিতার গুরু দ্বায়িত্ব কাঁদে নিয়ে অবশেষে জুবায়েলের সাথে বিয়ে দেন এএসপি আলমগীর। এএসপি আলমগীর নিজের কন্যা সন্তানের দাম্পত্য জীবনে সূখের জন্য সকলের নিকট দোয়া চেয়েছেন।এ ঘটনায় স্থানীয়রা পুলিশের এ কর্মকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

(জেসিজি/এসপি/নভেম্বর ০৫, ২০১৮)