স্টাফ রিপোর্টার : মানবতাবিরোধী অপরাধে দণ্ডিত ও মামলায় অভিযুক্ত মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতাকারী ব্যক্তিদের পোষ্যদের আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণে অযোগ্য ঘোষণাসহ ৬ দফা দাবি জানিয়েছে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট।

আজ মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানানো হয়। জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুস এসব দাবি তুলে ধরেন।

তাদের অন্য দাবিগুলো হলো- নির্বাচনে অংশগ্রহণ কারী মন্ত্রী, এমপিদের কোনো ধরনের সরকারি সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা যাবে না।

নির্বাচনে দলীয় স্বার্থে ধর্মের ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে হবে। কালো টাকা ও পেশীশক্তির ব্যবহার কঠোরভাবে প্রতিরোধ করতে হবে। এবং নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, বাঙালির হাজার বছরের মূল্যবোধ, নীতি-নৈতিকতা বিরোধী অপপ্রচার প্রতিরোধে নির্বাচন কমিশনকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্যহণ করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে গোলাম কুদ্দুস বলেন, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট মনে করে, সংবিধানই হলো রাষ্ট্র পরিচালনার মূলভিত্তি। তাই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে সকল মত ও চিন্তার প্রতিফলন একমাত্র জাতীয় সংসদে হওয়াই বাঞ্ছনীয়। নির্বাচনে সকল প্রার্থীর সমান সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ‘জাতির দুর্ভাগ্য হলো যে, স্বাধীনতার ৪৭ বছর পার হলেও আমরা জাতীয় নির্বাচন নিয়ে এখনও পূর্ণ ঐক্যমত্যে পৌঁছাতে পারিনি। তবে আমরা মনে করি, সব দলের অংশগ্রহণে অবাধ ও নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান সময়ের দাবি। এ দাবি বাস্তবায়নে নির্বাচন কমিশন, সরকার, সকল রাজনৈতিক দল এবং শ্রেণি-পেশার সর্বস্তরের নাগরিক নিজ নিজ অবস্থান থেকে সহযোগীতার মনোভাব নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে।’

এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘ড. কামাল হোসেন হলেন ১৯৭২ এর সংবিধানের প্রণেতা। অথচ আজ তিনি সেই সংবধিানে বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। তাই তার অবস্থান জাতি ঠিক করবে।’

অনুষ্ঠানে জোটের সাবেক সভাপতি নাসির উদ্দীন ইউসুফ বলেন, ‘শত্রুর শত্রু আমার বন্ধু এই সমীকরণে জোটি গঠন করলে সেজোট বেশিদিন টিকে না। মুক্তিযুদ্ধের আদর্শীক আন্দোলন দীর্ঘস্থায়ী হয়। সুতরাং মুক্তিযুদ্ধে আদর্শ নিয়ে যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে আমার বিশ্বাস জনগণ তাদেরকেই নির্বচীত করবে।’

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থি ছিলেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক হাসান আরিফ, কণ্ঠশিল্পী ফকির আলমগীর প্রমুখ।

(ওএস/এসপি/নভেম্বর ০৬, ২০১৮)