রঞ্জন কৃষ্ণ পন্ডিত, টাঙ্গাইল : আওয়ামীলীগের উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক ও ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার আতাউল মাহমুদ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকায় ভোট চাইলেন। 

মঙ্গলবার(৬ নভেম্বর) টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু অডিটরিয়ামে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি নৌকায় ভোট প্রার্থনা করেন।

বঙ্গবন্ধু প্রকৌশল পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আতাউল মাহমুদ বলেন, আগামি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-৮(সখীপুর-বাসাইল) সংসদীয় আসনে তিনি দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী। দীর্ঘদিন যাবত সখীপুর-বাসাইল উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল ঘুরে ঘুরে তিনি মানুষের অভাব-অভিযোগ ও চাওয়া-পাওয়া শনাক্ত করেছেন। দলীয় মনোনয়ন পেলে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়ে তিনি সখীপুর-বাসাইলকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশন-৪১ এর যোগ্য উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলবেন এবং সখিপুর-বাসাইল বনায়ন হওয়ায় কর্মজীবি মানুষের জন্য নগরায়ন গড়ে তুলবো। আমার প্রথম কাজ হবে সখিপুর বাসাইলের গ্যাস সংযোজন করা। যাতে করে ওইখানে মিল ইন্ডাষ্ট্রি করা যায়। ছাত্রজীবন থেকেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবর রহমানের হাতে গড়া সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িত ছিলাম।

১৯৮৬-৮৭ তে ঢাকা কলেজের উত্তর ছাত্রাবাস ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক, ১৯৯৩-৯৬ তে বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক, ১৯৯৯-২০০১ বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক ছিলাম। আমি মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে আমার প্রয়াত পিতা নুর মাহমুদ এলাকায় মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত করেন এবং আমার অগ্রজ দুই ভাই মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।

১/১১ এর পরবর্তী সময়ে যখন বঙ্গবন্ধু কন্যা মাটি ও মানুষের নেত্রী, জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা সংসদ ভবন সংলগ্ন সাবজেলে অন্তরীন ছিলেন তখন নেত্রীর মুক্তির দাবিতে আমার চার বছরের কন্যা সহ প্রকৌশলিদের নিয়ে প্রতিদিন জেলগেটে অবস্থান করি। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের জনসভায় যে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা হয় ওই জনসভায় আমিও উপস্থিত ছিলাম। পরবর্তীতে বিভিন্ন হাসপাতালে গ্রেনেড হামলায় আহতদের চিকিৎসা সহায়তা প্রদানের বিষয়ে যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি।

এ সময় টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদ সহ বিভিন্ন প্রিণ্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

(আরকেপি/এসপি/নভেম্বর ০৬, ২০১৮)