যশোর প্রতিনিধি : যশোর শহরের পুলিশ লাইন টালিখোলা এলাকায় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।ঘটনাস্থল থেকে দশটি বোমা, চারটি রামদা ও দুটি ছুরি উদ্ধার করেছে পুলিশ।

পরে ঘটনাস্থল থেকে আওয়ামী লীগের সাত কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।এদের মধ্যে পাঁচজনই নারী। তারা সবাই যশোর জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহীন চাকলাদার গ্রুপের কর্মী।

যশোর পুলিশের মুখপাত্র এএসপি রেশমা শারমিন জানান, রাত সোয়া ১২টার দিকে উপজেলা চেয়ারম্যানের পক্ষের লোকজন পৌর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মঈনুদ্দিন মিঠুর বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।মঈনুদ্দিন মিঠু উপজেলা চেয়ারম্যানবিরোধী অংশের নেতা বলে এলাকায় পরিচিত।

খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছলে উপজেলা চেয়ারম্যানের পক্ষের লোকজন পুলিশের ওপরও হামলা চালায়।পরে পুলিশ লাঠিচার্জ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। ঘটনাস্থল থেকে কণিকা, ঝর্ণা, জহুরা, কোহিনূর, মনোয়ারা, নূর ইসলাম ও নিলু নামে সাত আওয়ামী লীগ কর্মীকে আটক করা হয়।

জানা গেছে, সরোয়ার আলম টুলু নামে এক যুবলীগ কর্মী গত বছরের ১৯ এপ্রিল খুন হন। এই খুনের জন্য যুবলীগ নেতা মঈনুদ্দিন মিঠু ও তার ভাইদের দায়ী করা হয়। টুলু হত্যার পর থেকে মঈনুদ্দিন মিঠু ও তার ভাইরা এলাকা ছাড়া। হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে শুক্রবার রাতে মিঠু বাড়িতে ফিরলে প্রতিপক্ষ হামলা চালায় বলে জানান এএসপি রেশমা শারমিন।

এলাকাবাসী জানায়, দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় গুলিবর্ষণ ও বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ সময় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

এএসপি রেশমা শারমিন জানান, সংঘর্ষে জড়িতদের ধরতে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে।

কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সহিদুল ইসলাম বলেন, সংঘর্ষ ঠেকাতে গিয়ে জিয়া নামে পুলিশের এক কনস্টেবল আহত হয়েছেন।

(ওএস/এটিঅার/জুলাই ১৮, ২০১৪)