স্টাফ রিপোর্টার : অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে যুক্তফ্রন্ট। তাদের ভাষ্য-‘নির্বাচন কমিশনের Constitutional and Conscience আপনাদের প্রয়োগ করতে হবে। তবে এটা করতে ব্যর্থ হলে জাতি আপনাদের ক্ষমা করবে না।’

মঙ্গলবার বিকেলে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে বৈঠকে বসে লিখিত বক্তব্যে এ দাবি জানায় দলটি। রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন কমিশন ভবনে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।

এর আগে দুপুরে সিইসির সঙ্গে আলোচনার জন্য সময় চেয়ে চিঠি দেয় বিকল্পধারা বাংলাদেশের মহাসচিব মেজর (অব.) আবদুল মান্নান। চিঠিতে তিনি একটি প্রতিনিধি দল নিয়ে নির্বাচন ইস্যুতে সিইসির সঙ্গে আলোচনার জন্য ৯ নভেম্বরের মধ্যে সময় চান। আর আজই তাদের সময় দেয় হয়।

বৈঠকে নির্বাচন কমিশনের কাছে যুক্তফ্রন্ট একটি লিখিত বক্তব্য দেয়। তাতে উল্লেখ করা হয়-

১. সমস্ত জাতি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে।

২. নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা অকারণে বিলম্ব হলে জাতির মধ্যে সংশয়, বিভ্রান্তি ও হতাশার সৃষ্টি হবে- যা কোনোক্রমেই কাম্য নয়।

৩. জাতির প্রত্যাশায় যাতে কোনো রকম অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির উদ্ভব না হয়- সেটা দেখা নির্বাচন কমিশনের সাংবিধানিক ও নৈতিক দায়িত্ব।

৪. জনগণের এই সময়ে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবির প্রতি যুক্তফ্রন্টের নিরংকুশ সমর্থন রয়েছে।

৫. সরকার বা অন্য কোনো জোটের চাপ বা ভয়-ভীতি প্রদর্শন করলে- নির্বাচন কমিশন মাথা নত করবে না এটা যুক্তফ্রন্ট ও সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা।

কারণ :

ক) নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণার পর শত ভাগ মাননীয় রাষ্ট্রপতির অধীন।

খ) নির্বাচনের সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত কর্মচারীদের নির্বাচন কমিশনের অধীনস্থ করতে হবে।

গ) তফসিল ঘোষণার পর এমপিগণ সংশ্লিষ্ট এলাকায় কোনো প্রকল্প উদ্বোধন/প্রতিশ্রুতি যাতে না দিতে পারে সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। মন্ত্রী ও এমপিদের সরকারি সুযোগ-সুবিধা প্রত্যাহার করতে হবে।

ঘ) সরকারি দলের প্রার্থীদের বিল বোর্ড, ব্যানার, পোস্টার অবিলম্বে অপসারণ করতে হবে।

বিকল্পধারা বাংলাদেশ এর মহাসচিব ও যুক্তফ্রন্ট নেতা মেজর (অব.) আব্দুল মান্নান এর নের্তৃত্বে ছয় সদস্যের প্রতিনিধি দলে বিকল্প ধারার প্রেসিডিয়াম সদস্য গোলাম সরোয়ার মিলন, বাংলাদেশ ন্যাপ এর চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি, যুক্তফ্রন্ট নেতা মাজহারুল হক শাহ চৌধুরী, বিকল্প ধারার সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার ওমর ফারুক, বিকল্প ধারার সহ-সভাপতি মাহমুদা চৌধুরী বৈঠকে অংশ নেন।

বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা, নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, মো. রফিকুল ইসলাম, বেগম কবিতা খানম ও অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদত হোসেন চৌধুরী ও নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, সংবিধান অনুযায়ী আগামী ২৮ জানুয়ারির মধ্যে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। গত ৩০ অক্টোবর থেকে নির্বাচনকালীন সময়ের ক্ষণ-গণনা শুরু হয়েছে। তবে ডিসেম্বরের মধ্যেই ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করতে বদ্ধপরিকর নির্বাচন কমিশন। এজন্য ১ নভেম্বর রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি জানিয়েছে ইসি।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

(ওএস/এসপি/নভেম্বর ০৬, ২০১৮)