গাইবান্ধা প্রতিনিধি : গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে শীত জেকে বসতে শুরু করেছে। সেই সাথে তাল মিলিয়ে শীতকালীন সবজির ব্যাপক আমদানী হওয়ায় সবজির দাম কমতে শুরু করেছে। ফলে ক্রেতা সাধারণের মুখে হাসি ফুটলেও চাষীর মুখে হতাশার গ্লানী দেখা দিয়েছে।

পলাশবাড়ী বাজারের সবজি বিক্রেতা রঞ্জু বলেন স্থানীয় ভাবে পর্যাপ্ত উৎপাদন ও আমদানী থাকায় বাজারে সবজির দাম কমছে বলে বিক্রেতারা বলেন, কার্তিক প্রায় শেষ হতে চলেছে। সাধারণত অগ্রহায়ণ এবং পৌষ মাস জুড়েই শীতকালীন শস্য বেশি আসে বাজারে। ফলে এ সময়ে সব ধরণের সবজির দাম ক্রেতাদের নাগালের মধ্যেই থাকে।

মঙ্গলবার উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে বিভিন্ন সবজির দাম প্রতি কেজিতে কমেছে ৮ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত। তবে আলুর দাম অপরিবর্তিত।

চলতি শীতকালীন সবজি হিসেবে ফুলকপি প্রতি কেজি ২০ টাকা, বাঁধাকপি ১৫ টাকা, সীম ৫০ টাকা, মূলা ১০ টাকা, লাউ ২০ টাকা, করলা ২০ টাকা, বেগুন ১৫ টাকা, বটবটি ১৫ টাকা, ঢেঁড়স ২০ টাকা, পালং শাক ৫ টাকা, আলু ২২ টাকা, টমেটো ৫০ টাকা, ওঁল ২৫ টাকা ও পুড়া আলু ৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

সবজি চাষি শাহ আলম মিয়া বলেন, গত সপ্তাহের চেয়ে এখন সবজি বেশী উৎপাদন হওয়ায় দাম অর্ধেক কমেছে। এভাবে যদি কমতে থাকে তাহলে লোকসানের হিসাব গুণতে হবে।

সবজি কিনতে আজাদুল জানান, কয়েকদিন আগের চেয়ে বর্তমানে বর্তমানে কাঁচা তরকারীর দাম কমে কেনা যাচ্ছে। আরও কম হলে ভাল হতো।

পলাশবাড়ীর কৃষি অফিসার আজিজুল ইসলাম বলেন, সবজি উৎপাদন বেশী হওয়া দাম কিছু কমেছে। তার পরও কৃষক যে মূল্য পাচ্ছে এতে করে লোকশান হওয়ার কথা নয়।

(এসআইআর/এসপি/নভেম্বর ০৭, ২০১৮)