জোটন চন্দ্র ঘোষ, হালুয়াঘাট : ময়মনসিংহ-১ হালুয়াঘাট ও ধোবাউড়া থেকে নির্বাচিত জননন্দিত মাটি ও মানুষের স্বপ্ন পূরনের আকাঙ্খা ও স্বপ্ন বাস্তবায়নের রূপকার তরুণ প্রজন্মের অহংকার জুয়েল আরেং এমপি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে আবারও নৌকা উপহার দিতে চান। 

তিনি একান্ত স্বাক্ষাতকারে এ প্রতিবেদককে বলেন, পিতার আর্দশ বুকে নিয়ে রাজনীতিতে প্রবেশ করেছেন। পিতার মৃত্যুর পর উপনির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে সংসদ সদস্য হওয়ার পর থেকে জনগণের প্রত্যাশা পূরণে কাজ করে যাচ্ছেন। উভয় উপজেলার প্রত্যেকটি ইউনিয়নে উন্নয়নের মাধ্যমে জনগণের মাঝে আশার আলো ফুটিয়ে তোলেছেন।

অত্র উপজেলায় মেগা প্রকল্পের মাধ্যমে একান্ত প্রচেষ্টায় প্রায় ১২ কোটি টাকা ব্যায়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অর্থায়নে ৯ কোটি ৭০ লক্ষ ২৩ হাজার ২ শত ৩৫ টাকা ব্যায়ে ১৮ ফুট প্রস্থ্য হালুয়াঘাট-নালিতাবাড়ি রাস্তার চেইনেজে ০+০০০ হতে ৮+৫৭০ কিলোমিটার পর্যন্ত রাস্তা উন্নয়ন কাজ ও পৌরশহরের পাগলপাড়া নামক স্থানে ১ কোটি ৬৭ লক্ষ ৪৮ হাজার ৪ শত ৪৬ টাকা ব্যায়ে ৩২ মিটার দৈর্ঘ্য দর্শানদীর উপর ব্রীজ নির্মাণ, হালুয়াঘাট-ধোবাউড়ার সংযোগ স্থাপনা ফুটকাই নদীর ওপর জাপানী দাতা সংস্থা (জাইকার) অর্থায়নে প্রায় ৯ কোটি ২৯ লক্ষ টাকা ব্যায়ে নির্মিত হচ্ছে ফোটকাই নদীর ওপর ৫১০ ফুট দৈর্ঘ্য গার্ডার ব্রীজ। নাগলা-গোয়াতলা জিসি ভায়া শাকুয়াই সড়ক পাকা করণ ও পূননির্মাণ। প্রায় ৪ কোটি ৯১ লক্ষ টাকা ব্যায়ে হালুয়াঘাট উপজেলা পরিষদের সম্প্রসারিত নতুন বহুতল ভবন নির্মাণ।

উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ। হালুয়াঘাট-ময়মনসিংহ আঞ্চলিক মহাসড়কের ফুলপুর থেকে গোবরাকুড়া স্থলবন্ধর পর্যন্ত ২৪ কি:মি: সড়কের সংস্কার ও রাস্তার প্রস্থ্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা একনেকে প্রায় ৫৬ কোটি টাকা ব্যয়ে হালুয়াঘাটের অর্থনৈতিক প্রাণ কেন্দ্র হিসেবে সারা দেশে সুপরিচিত গোবরাকুড়া স্থলবন্ধর পর্যন্ত ১৮ ফুট প্রস্থ রাস্তা নির্মাণের বরাদ্ধ পাস করেন। দ্রুত সময়ে উক্ত রাস্তার কাজটি সম্পন্ন করা হবে। যে রাস্তাটি ছিল উপজেলাবাসীর নিকট বর্তমান সময়ের স্বপ্নের দাবী।

বর্তমান সরকারের আমলে উপজেলার প্রায় শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভবন নির্মাণ, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নতুন ভবন নির্মাণ ও চিকিৎসা সেবার উন্নয়ন, প্রত্যান্ত গ্রামাঞ্চলের রাস্তাঘাট পাকা করণসহ ব্রীজ ও কালভার্ট নির্মাণ,পৌর শহরসহ প্রত্যান্ত গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুতায়ন, নারীদের উন্নয়নে জয়ীতা মহিলা মার্কেটের অত্যাধুনিক ভবন নির্মাণসহ বিশ্ববিদ্যালয় গুলিতে বহুতলীয় ভবণ নির্মান করা হয়েছে।

এ ছাড়াও উভয় উপজেলার প্রায় প্রতিটি গ্রামে বিদ্যুতায়ন, রাস্তাঘাট, স্কুল-কলেজের আধুনিক ভবন নির্মাণ, প্রতিটি ইউনিয়নেই প্রাইমারী স্কুল ভবন নির্মাণ, সমাজের অতিদরিদ্র, অসহায় ব্যক্তিদেরকে অর্থনৈতিক, অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা, বিবাহ ও পঙ্গু ভাতাসহ বিভিন্ন ভাবে সাহায্য ও অনুদান প্রদান। উপজেলাকে ভিক্ষুক মুক্তকরার প্রয়াসে তিনি উপজেলার ভিক্ষুকদের জন্য পূর্নবাসন কার্যক্রম গ্রহন করেছেন। উন্নয়ন ধরে রাখতে নৌকা মার্কায় ভোট চান।

জানা যায়, প্রয়াত সমাজ কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট প্রমোদ মানকিন এমপি’র একমাত্র পুত্র সন্তান গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সর্বকনিষ্ঠ্য সাংসদ নতুন প্রজন্মের অহংকার জুয়েল আরেং। পিতার যোগ্য উত্তরস্বরী হিসেবে ২০১৬ সনের ১৮ জুলাই অনুষ্ঠিত উপ-নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীক নিয়ে ১ লক্ষ ৭০ হাজার ২ শত ৭০ ভোটের বিশাল ব্যবধানে বিজয়ী হয়।

সাম্প্রদায়িক সম্প্রিতির বন্ধনে আবদ করে রেখেছেন আপামর জনসাধারণকে। আসন্ন একাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গণসংযোগে ও প্রচার প্রচারণায় শীর্ষে রয়েছেন। পরিক্ষিত তরুণ প্রজন্মের রাজনৈতিক ব্যক্তি হিসেবে দল তাকে মনোনয়ন দিলে পুনরায় এই আসনটি প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার দিতে পারবেন বলে আশ্বস্ত করেন।

(জেসিজি/এসপি/নভেম্বর ০৭, ২০১৮)