মাদারীপুর প্রতিনিধি : মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার ভুরঘাটা এলাকায় সড়ক ও জনপথের (সওজ) জায়গা দখল করে অবৈধভাবে মার্কেটের নির্মাণ কাজ করার অভিযোগ উঠেছে কালকিনি পৌরসভার মেয়র ও পৌর আওয়ামীলীগ নেতার বিরুদ্ধে।

স্থানীয় ও সওজ সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের কালকিনি উপজেলার ভুরঘাটা এলাকায় সড়ক ও জনপথ বিভাগের বিপুল পরিমান সম্পত্তি দখল করে মার্কেট নির্মাণ কাজ করছে কালকিনি পৌর মেয়র ও পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এনায়েত হোসেন হাওলাদার। এরই মধ্যে মহাসড়কের পাশে বিপুল পরিমান জমিতে বালু ফেলে পাকা স্থাপনার নির্মান কাজ চলছে।

একাধিক স্থানীয়রা জানান, আওয়ামীলীগ নেতা এনায়েত হোসেন এবং জেলা পরিষদের সদস্য মীর মামুন বালু ফেলে পাকা স্থাপনা নির্মাণ করছেন। তবে সড়ক ও জনপদ বিভাগ থেকে স্থাপনা নির্মানে বাধা দিলেও কর্নপাত করছেন না বলে অভিযোগ সওজের।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক স্থানীয়রা জানান, পৌর মেয়র এনায়েত হোসেন তার নিজ ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে সরকারী জমি দখল করে মার্কেট নির্মাণ কাজ শুরু করেন। মার্কেট নির্মিত হলে ভুরঘাটা বাস স্টান্ডের জায়গা সংকুচিত হবে। এতে করে জনসাধারণের ভোগান্তি হবে। নষ্ট হবে সরকারী জমি। তবে সড়ক ও জনপদ বিভাগের জায়গা দখল করে মার্কেট নির্মানের বিষয়টি পৌর মেয়র ও পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এনায়েত হোসেন অস্বীকার করেছেন।

কালকিনির পৌর মেয়র এনায়েত হোসেন হাওলাদার বলেন, স্থানীয় এক নেতা মার্কেট নির্মানের জন্য জমি বরাদ্দ চেয়ে আবেদন করেছিল। কিন্তু সড়ক ও জনপথ বিভাগ থেকে জমি বরাদ্দ দেয়া হয়নি। তাই নির্মাণ কাজ বন্ধ রয়েছে। একটি রাজনৈতিক মহল আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমি কোন মার্কেট নির্মাণের সাথে সম্পৃত্ত নই।’

তবে অনুসন্ধান করে জানা গেছে, সড়ক ও জনপথ বিভাগের কাছে তিনি জমি বরাদ্দের জন্য আবেদন করেছেন। সেই আবেদন না মঞ্জর হয়েছে।

মাদারীপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. বারী খান জানান, পৌর মেয়র এনায়েত হোসেন আমাদের কাছে জমি বরাদ্দের জন্য আবেদন করেছিল। কিন্তু জমি বরাদ্দের বিষয়টি আইন বর্হিভুত হওয়ায় সড়ক ও জনপথ বিভাগ থেকে তাকে জমি বরাদ্দ দেয়া হয়নি। তারপরও সেখানে স্থাপনা নির্মাণ শুরু করলে আমরা বাধা দিয়েছি। থানায় জিডি করেছি। শুনেছি তারপরও স্থাপনা নির্মাণ কাজ চলছে। বিষয়টি আমরা উর্ধতন কর্তৃপক্ষকেও জানিয়েছি। নির্মাণ কাজ না থামালে প্রয়োজনে মামলা করবো।

(এম/এসপি/নভেম্বর ০৭, ২০১৮)