স্টাফ রিপোর্টার : দুর্নীতির দুই মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদার চিকিৎসা শেষ না করে কারাগারে নেয়ার অভিযোগ করে বিষয়টি হাইকোটের একটি দ্বৈত বেঞ্চে উপস্থাপন করেছেন তার আইজীবীরা। পরে বিষয়টি নিয়ে লিখিত আবেদন করতে বলেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার দুপুরে খালেদা জিয়ার আইনজীবী প্যানেলের সদস্য বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বিষয়টি আদালতে উপস্থাপন করলে হাইকোর্টের বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ বিষয়ে লিখিত আবেদন করতে বলেন।

আদালতের নির্দেশের পর খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে এ বিষয়ে একটি লিখিত আবেদন করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন আইনজীবীরা। আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল জানান, আবেদনের ওপর আজ (বৃহস্পতিবার) বিকেল ৪টার দিকে শুনানি হতে পারে।

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতি মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানির আজ (বৃহস্পতিবার) ধার্য থাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিশ্ববিদ্যলয় মেডিকেল কলেজ (বিএসএমএমইউ) হাসপাতাল থেকে তাকে আদালতে হাজির করা হয়েছে।

টানা ১ মাস ২ দিন বিএসএমএমইউ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর খালেদাকে আদালতে হাজির করা হলো। এর আগে গত ৬ অক্টোবর খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিএসএমএমইউ হাসপাতালে নেয়া হয়। জানা গেছে, আদালতে হাজিরা শেষ তাকে কারাগারে নেয়া হবে।

কানাডীয় প্রতিষ্ঠান নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতি সাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম গত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় নাইকো দুর্নীতি মামলাটি দায়ের করেন।

দুদকের দায়ের করা দুই মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ১০ ও ৭ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন। আপিলে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ৫ বছরের কারাদণ্ড বেড়ে ১০ বছর এবং জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিশেষ আদালতে ৭ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছে তিনি।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণার পর পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে অবস্থিত সাবেক কেন্দ্রীয় কারাগারে খালেদা জিয়াকে বন্দি রাখা হয়। সেখান থেকেই গত ৬ অক্টোবর চিকিৎসকদের পরামর্শে খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিএসএমএমইউ হাসপাতালে নেয়া হয়।

(ওএস/এসপি/নভেম্বর ০৮, ২০১৮)