আঞ্চলিক প্রতিনিধি, বরিশাল : জেলার উজিরপুর উপজেলার জল¬া ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি বিশ্বজিৎ হালদার নান্টু হত্যাকাণ্ডের দেড় মাস পর আরও আটজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার রাতে ঢাকার মোহম্মদপুর এলাকায় একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অফিস থেকে এই আটজনকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় উদ্ধার করা হয়েছে একটি পিস্তল।

বরিশাল জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিং করে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম।

তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃত আটজন বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনার সঙ্গে জড়িত। উদ্ধার করা পিস্তলটি দিয়েই বিশ্বজিৎকে গুলি করা হয়েছে। তবে কিলিং মিশনে অংশ নেয়া দুইজনকে এখনো গ্রেফতার করা যায়নি।

গ্রেফতারকৃত আটজন হলেন- মো. শাকিল ইসলাম রাব্বী, মামুন শাহ, কাউসার সেরনিয়াবাত, এরশাদ, কুদ্দুস হাওলাদার, হাদিরুল ইসলাম হাদী, দিপু ও সোহাগ। তবে পুলিশ তাদের ঠিকানা প্রকাশ করেনি।
পুলিশ সুপার বলেন, মোহাম্মদপুরে মামুন শাহর ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান থেকে মামুনসহ অপর সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তারা চেয়ারম্যান নান্টু হত্যাকাণ্ডে জড়িত বলে নিজেদের দায় স্বীকার করেছে। তারা পুলিশকে জানিয়েছে, আধিপত্য বিস্তার এবং মাদক ব্যবসায় বাধা দেয়ায় পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী চেয়ারম্যান নান্টুকে ভাড়াটে খুনি দিয়ে হত্যা করা হয়।

প্রসঙ্গত, গত ২১ সেপ্টেম্বর রাতে জল্লা ইউনিয়নের কারফা বাজারে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত হন চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ হালদার নান্টু।

এ ঘটনায় নান্টুর বাবা হত্যা মামলা করেছেন। হত্যাকাণ্ডের পরপরই অভিযান চালিয়ে ১২ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ নিয়ে গ্রেফতারের সংখ্যা দাঁড়ালো ২০ জন। তাদের কেউ কেউ হত্যা পরিকল্পনার সঙ্গে জড়িত বলেও জানিয়েছে মঙ্গলবার ঢাকায় গ্রেফতার হওয়া আটজন।

(টিবি/এসপি/নভেম্বর ০৮, ২০১৮)