সমরেন্দ্র বিশ্বশর্মা, কেন্দুয়া (নেত্রকোণা) : নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় রক্স উপজেলা কমিটির আয়োজনে ৮০টি আনন্দ স্কুলের শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়ন শীর্ষক এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা আল-ইমরান রুহুল ইসলাম। মায়ের মত মমতা দিয়ে ঝরে পড়া শিশুদের ভালভাবে পাঠদানের মাধ্যমে তাদেরকে আলোর পথে নিয়ে আসার দাবী জানিয়ে বক্তব্য রাখেন রক্স প্রকল্প-২ এর সহকারী পরিচালক (ম্যানেজমেন্ট) জেসমিন তাসলিমা বানু।

তিনি বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনি পরীক্ষায় যাতে শতভাগ ছাত্রছাত্রী উপস্থিত থাকে সে জন্য শিক্ষকদের গুরুত্বপূর্ণ ভমিকা রাখতে হবে। অনেক ঝরে পড়া শিশুর অভিভাবক নেই, এজন্য পরীক্ষার্থীদের সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষার হলে নিয়ে যেতে হবে এবং আনতে হবে। তিনি বলেন, বর্তমান শিক্ষা বান্ধব সরকার চান না ঝরে পড়া শিশু থাকুক। ঝরে পড়াদের শিশুদের শিক্ষা দানের জন্য আনন্দ স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা অনেক গর্বিত।

এছাড়া কর্মশালায় আরো বক্তব্য রাখেন, রক্স প্রকল্প-২ এর সহকারী পরিচালক মোশরেকুল আলম। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন নেত্রকোনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা খন্দকার মুনসছুর রহমান, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জিয়াউল হক জিয়া, রক্স প্রকল্পের উপজেলা সমন্বয়কারী মোবাশ্বের হোসেন, কেন্দুয়া উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক সমরেন্দ্র বিশ্বশর্মা। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাকির আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আনন্দ স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের লেখাপড়ার অগ্রগতির বিষয়ে তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন পুল শিক্ষক মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান আহমেদ ঝান্টু, মাদার স্কুলের শিক্ষক আব্দুস সালাম ও বিষ্ণুপুর আনন্দ স্কুলের শিক্ষিকা জোসনা বেগম।

সহকারী পরিচালক জেসমিন তাসলিমা বানু আরো বলেন, সবার সদিচ্ছা থাকলে ঝরে পড়া শিশুরা ভালো ফলাফল অর্জন করতে পারবে।

তিনি বলেন, ১১০ টি উপজেলায় ৮৬ হাজার শিক্ষার্থী সমাপনীতে অংশ নেবে। তাদের ভাল ফলাফলের উপর ভিত্তি করেই নির্ভর করবে আগামী ভবিষ্যত। তিনি কেন্দুয়া উপজেলার শিক্ষকদের আগ্রহ দেখে সকলের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। পরে রক্স প্রকপ্লের সমন্বয়কারী ও চিরাং বাজার আনন্দ স্কুলের শিক্ষিকা অপু রাণী বিশ্বাস সকলের পক্ষ থেকে রক্স পেইজ-২ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো: দেলওয়ার হোসেনের সম্মানে সহকারী পরিচালকের হাতে একটি মানপত্র তুলে দেন।

(এসবি/এসপি/নভেম্বর ০৮, ২০১৮)