নিউজ ডেস্ক : স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, সেই নারীই ইতিবাচক পরিবর্তনের দূত, যে নারী সচেতনতার সাথে নিজেকে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সম্পৃক্ত করবে, নারী সমাজকে জাগ্রত করতে নিজ নিজ ক্ষেত্রে সোচ্চার হবে এবং সচেষ্ট থাকবে। এভাবে যেকোনো নারী সকল বাধা ও শৃঙ্খলসীমাকে অতিক্রম করে নব দিগন্তের সূচনা করতে পারে।

তিনি বলেন, শুধু নারী অধিকার প্রতিষ্ঠা নয়, বরং সুন্দর ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যত গড়ার লক্ষ্যে সমাজে ইতিবাচক রুপান্তর ও পরিবর্তন আনতে হবে। এর মাধ্যমে সূচিত হবে এক নব অধ্যায়ের।

বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় নারীদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বানও জানান তিনি।

বৃহ্স্পতিবার যুক্তরাজ্যের হাউস অব কমন্সে ‘এন্ডিং ভায়োলেন্স এগেইনস্ট ওমেন অ্যান্ড গার্ল’ শীর্ষক সেশনে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। ‘ওমেন এমপিস অব দ্য ওয়ার্ল্ড’ সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী ৮৬টি দেশের ১২০ জন নারী সংসদ সদস্য এতে অংশ নেন।

নারীদের ভোটাধিকারের গৌরবময় শতবর্ষ উদযাপন এবং অধিকার প্রতিষ্ঠায় যারা দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন তাদের ত্যাগ ও অবদান কথা গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন স্পিকার।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ ও দৃঢ় নেতৃত্বে বাংলাদেশের নারীরা এগিয়ে চলছে। সাথে সাথে এগিয়ে চলছে দেশ। তৃণমূল পর্যায়ে নারীদের সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে ক্ষমতায়নের জন্য বাংলাদেশ সরকার কাজ করে যাচ্ছে। নারীদের দক্ষ করে গড়ে তুলতে শিক্ষা ব্যবস্থার পাশাপাশি অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করতেও সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনির আওতায় আনতে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।

শিরীন শারমিন বলেন, বাংলাদেশ সরকার পাসপোর্টে বাবার নামে পাশাপাশি মায়ের নামও অন্তর্ভুক্ত করেছে। মায়েদের স্ববেতনে ছয় মাস মাতৃকালীন ছুটি, ল্যাকটেটিং মাদার সহায়তা, বিধবা ভাতাসহ বিভিন্ন পদক্ষেপের মাধ্যমে নারীর সুরক্ষা নিশ্চিত করেছে।

(ওএস/এসপি/নভেম্বর ০৯, ২০১৮)