আঞ্চলিক প্রতিনিধি, বরিশাল : মোবাইল ফোনের কারণে সড়ক দুর্ঘটনায় আগৈলঝাড়ায় যাত্রিবাহী লোকাল বাসের নারী ও শিশু যাত্রীসহ অন্তত ২৫জন আহত হয়েছে। আহতের চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। দূর্ঘটনা কবলিত বাসটি আটক করেছে পুলিশ, থানায় মামলার প্রস্তুতি। 

প্রত্যক্ষদর্শী ও আহত যাত্রীরা জানান, শুক্রবার সকাল ১০টা ১৫মিনিটে নাঈম নামের যাত্রিবাহী লোকাল বাস (বরিশাল ব-১১-০০৬৪) পয়সারহাট থেকে জেলা শহর বরিশালের উদ্যেশ্যে ছেড়ে যায়। পথ্যিমধ্যে আগৈলঝাড়া উপজেলার বাইপাস সড়কের ফুল্লশ্রী চৌরাস্তা বাস ষ্ট্যান্ডে যাত্রী ওঠানামা শেষে গাড়ি ষ্ট্রার্ট করে চালক। এসময় চালকের মোবাইলে একটি ফোন আসলে চালক ফোন রিসিভ করতে গিয়ে তার হাত থেকে ফোন পরে যায়। পরে যাওয়া ফোন চালক তুলতে গিয়ে গাড়ির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলায় রাস্তার পাশের গাছে ধাক্কা লেগে দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় যাত্রীদের শরীরের বিভিন্ন অংশ কেটে গিয়ে অন্তত ২৫জন যাত্রী আহত হয়। দুর্ঘটনার পরপরই চালক ও হেলাপার পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা ও থানা পুলিশ এগিয়ে এসে আহতদের উদ্ধার করে পাশ্ববর্তি দুঃস্থ মানবতার প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা প্রদান করে।

দুর্ঘটনায় আহতরা হলো উপজেলা আমবৌলা গ্রামের শাহিন ফরাজী (৩২), রামানন্দেরআঁক গ্রামের মনোজ গাইন (২২), কোটালীপাড়ার বৈশাখী বিশ্বাস (২৫), জয়দবে বিশ্বাস (২৮), সবুজ পান্ডে (২৫), মুক্তা মাঝি (২৫), মুক্তার মেয়ে দিগন্ত (২), মিষ্টি দাস (২২মাস), টুঙ্গিপাড়া উপজেলার সুব্রত কীর্ত্তনীয়া (৩০), গৌরাঙ্গ (২৭), ভোলানাথ কীর্ত্তনীয়া (৩২), তৃপ্তি অধিকারী (২২), উজিরপুরের সাতলা গ্রামের সমাপ্তি বাড়ৈ (৪০), বরিশালের ফাতেমা আক্তার (১৮), হাবিবুল্লাহ (২৪), গৌরাঙ্গ অধিকারী (২১), কোহিনুর বেগম (২৫), তার মেয়ে শ্রাবনী (৭)। পুলিশ দূর্ঘটনার শিকার বাসটি আটক করে থানায় নিয়ে গেছে। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন থানার ওসি মো. আফজাল হোসেন।

তিনি জানান, এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

(টিবি/এসপি/নভেম্বর ০৯, ২০১৮)