রাণীশংকৈল প্রতিনিধি : (পীরগঞ্জ-রানীশংকৈলের একাংশ) নিয়ে গঠিত ঠাকুরগাও-৩ আসনে বিশাল নির্বাচনী জনসভা করেছে বর্তমান সরকারের বৃহৎ শরিক জাতীয় পার্টি(এরশাদ)।  জনসভার মঞ্চে জাতীয় পার্টির দুই দায়িত্বশীল নেতার ব্যাপক হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।

বৃহস্পতিবার (৮ নভেম্বর) বিকেলে ঠাকুরগায়ের রানীশংকৈল উপজেলা জাতীয় পার্টি আয়োজিত ডিগ্রী কলেজ মাঠে এ জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য চিত্র নায়ক মুক্তিযোদ্বা মাসুদ পারভেজ সোহেল রানা। জাতীয় পার্টির জেলা সভাপতি ঠাকুরগাও-৩ আসনের জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী হাফিজ উদ্দীনের সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তৃতা করেন রংপুর মহানগর জাতীয় পার্টির সভাপতি ও সিটি মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান উপজেলা জাতীয় যুব সংহতির সম্পাদক ইসাহাক আলীর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন জেলা জাপার সম্পাদক রেজাউর রাজী চৌধুরী স্বপনসহ স্থানীয় জেলা উপজেলার নেতাকর্মিরা।

প্রধান অতিথির জনসভা স্থলে পৌছে মঞ্চে উঠার ঠিক আগ মহূর্তে মঞ্চে উঠাকে এবং বক্তৃতা প্রদানের সময় ডাইসের সামনে সবাইকে পাশ কাটিয়ে অবস্থান করার চেষ্টাকালে মঞ্চের মধ্যেই হাতাহাতির ঘটনা ঘটে পীরগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক আনিসুর রহমান আনিস ও রানীশংকৈল উপজেলা জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক আবু তাহেরের মধ্যে।

হাতাহাতির ঘটনা এক পর্যায়ে দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে মারামারির আকার ধারণ করার প্রাক্কালে জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি ঠাকুরগাও-৩ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী হাফিজ উদ্দীনের মধ্যেস্থতায় ঘটনার তাৎক্ষনিক কোনরকম সমাধান হয়। তাৎক্ষনিকভাবে এ ঘটনা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় উপস্থিত জনসাধারনের মধ্যে

তবে জাতীয় পার্টির সভায় সাধারণ নেতাকর্মী কিংবা সমর্থকের তুলনায় চিত্র নায়ক মাসুদ পারভেজ সোহেল রানাকে দেখতেই উৎসুক জনতার ভীড় জমায় এতে নারীদেরও উপস্থিতি ছিলো চোখে পড়ার মত। এবং কি জনসভার ভাষন শোনার চেয়ে পার্টির নেতাকর্মীরা নায়ক সোহেল রানার সাথে মঞ্চে উঠে ফটোসেশন করতে ব্যাস্ত হয়ে পড়ে। যা এক বিশৃঙ্গলায় রুপ নেয়।

জনসভায় আ’লীগের সহযোগী সংগঠনের উপজেলা পর্যায়ের দায়িত্বশীল নেতাদেরও দর্শকদের সারিতে বসে থাকতে দেখা যায়। এমনিভাবে সর্বদলীয় লোকজন এসেছিলেন নায়ক সোহেল রানাকে এক নজর দেখতে জাপার জনসভায় নয় বলে অনেকে দাবী করেন ।

এ প্রসঙ্গে রানীশংকৈল উপজেলা জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক আবু তাহের বলেন,আমি মঞ্চের শৃঙ্গলা নিয়ন্ত্রের দায়িত্বে ছিলাম তাই মঞ্চে অতিরিক্ত নেতাকর্মির ভীড় দেখে তাদের সরাতে গেলে তার সাথে আমার বিরোধ বাধে। অপরদিকে পীরগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক আনিসুর রহমান আনিসের সাথে যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায় নি।

(কেএএস/এসপি/নভেম্বর ০৯, ২০১৮)