নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালী সুবর্ণচরে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরণের নামে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় চলছে রমরমা বাণিজ্য। প্রতিযোগিতা করেই পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত তিন গুণ পর্যন্ত ফি আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী-অভিভাবকরা চরম হতাশা প্রকাশ করলেও শিক্ষা বোর্ড বা প্রশাসনের কার্যকর কোনো নজরদারি নেই। এসুযোগে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বিপুল পরমিান অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে আবদুল্যাহ মিয়ার হাট জুনিয়র হাইস্কুল । সরমজমিনে বিদ্যালয়টিতে গেলে শিক্ষকদের সামনেই প্রকাশ্য অনিয়মের  অভিযোগ করেন ১০/১২ জন শিক্ষার্থী । 

শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা যায়, এবার এসএসসি পরীক্ষায় ফরম ফিলাপের জন্য মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষায় কেন্দ্র ফিসহ সাকল্যে ১৪৪৫ টাকা। বিজ্ঞানে ১৫৬৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু স্কুলগুলো সর্বোচ্চ ৪ হাজার থেকে ৬ হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করছে করার অভিযোগ উঠেছে।

সুবর্ণচর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু ওয়াদুদ এর সাথে আলাপ কালে তিনি বলেন, এসএসসির ফরম ফিলাপের সময় নির্ধারিত রেজিস্ট্রেশন ও কেন্দ্র ফির বাইরে অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

এ ব্যাপারে কেউ অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ভুক্তভোগি এক শিক্ষার্থী জানান, ‘গত বছরও একইভাবে স্কুলগুলো এসএসসির ফরম ফিলাপের সময় গলা কাটা ফি আদায় করেছিল। একইভাবে এবারেও আদায় করা হচ্ছে ৩গুন বেশী টাকা! পরে আমরা প্রতিবাদ করলে ২/৩শ টাকা কম নিচ্ছে, এবারও ফরম ফিলাপের সময় বাধ্যতামূলক কোচিং, উন্নয়ন ফি, অতিরিক্ত বেতন, সেশন ফি ও মডেল টেস্টের নামে গলা কাটা ফি আদায় করা হচ্ছে। এটি শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা লোপাটের নামান্তর।’ শিক্ষার্থী ও অভিভাবককে জিম্মি করে এ অর্থ আদায় করা হচ্ছে।

জানা যায়, এ বছর এসএসসির ফরম ফিলাপের নামে নোয়াখালী সুবর্ণচর উপজেলার ১ নং চরজব্বর ইউনিয়নের আবদুল্যাহ মিয়ার হাট জুনিয়র হাইস্কুলে প্রধান শিক্ষক ছানা উল্যাহ ছুটিতে থাকার সুবাধে এই টাকা অন্যায় ভাবে আদায় করছেন ভারপ্রপ্ত প্রধান শিক্ষক রহমত উল্যাহ। এ নিয়ে অভিভাবিক মহল ক্ষোভ প্রকাশ করেন, প্রতিবন্ধি এক অভিভাবক বলেন, আমি গরিব মানুষ মানুষের কাছ থেকে টাকা ধার নিয়ে ভারপ্রপ্ত ভারপ্রপ্ত প্রধান শিক্ষক রহমত উল্যাহ;র কাছে গিয়েছিলাম তিনি জানালেন ৪ হাজার টাকা ছাড়া ফরম ফিলাপ করা হবে না।

অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের বিষয়ে তার কাছ থেকে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্তে এই টাকা আদায় করা হচ্ছে, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ১ নং চরজব্বর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান তরিক উল্যাহ বিএসসি জানান, এই বিদ্যালয়ে শিক্ষকরা সরকারি নয় বলেই টাকা একটু বেশী নেয়া হচ্ছে। প্রত্যন্ত আঞ্চলের অধিকাংশ শিক্ষার্থী নিন্ম ও মধ্যবিত্ত পরিবারের হওয়ায় এত টাকা বহন করা প্রায় অসম্বব তাই অনেক শত শত হতদরিদ্র শিক্ষার্থী শিক্ষার আলো থেকে বচ্ঞিত হচ্ছে, ধ্বংস হতে বসেছে তাদের আগামী উজ্জ্বল ভবিষ্যত।

জানা যায়, নোয়াখালী সুবর্ণচরে একাধিক স্কুল গুলোতে এবার এসএসসি পরীক্ষায় ফরম ফিলাপের জন্য ৪ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হচ্ছে। শিক্ষার আলো পেতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবক এই বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রসাশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন ।

(আইইউএস/এসপি/নভেম্বর ১০, ২০১৮)