স্টাফ রিপোর্টার : নির্বাচন কমিশন (ইসি) ঘোষিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল বাতিলের দাবি জানিয়েছে বাম গণতান্ত্রিক জোট।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে শনিবার তফসিল বাতিলের দাবিতে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে এ দাবি জানানো হয়।

সমাবেশে বাম জোটের পক্ষ থেকে ঘোষিত তফসিলকে একতরফা উল্লেখ করে তা বাতিদের দাবি জানানো হয়। একই সঙ্গে সব রাজনৈতিক দলের মতামতের ভিত্তিতে পুনরায় তফসিল ঘোষণার দাবি জানান বক্তারা। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে অনুষ্ঠিত সংলাপকে মূল্যহীন ও ব্যর্থ বলে উল্লেখ করেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতারা।

বিক্ষোভ সমাবেশে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের এ দখল দারিত্বের নির্বাচনের বিরুদ্ধে আমরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছি। বিরোধী দলীয় রাজনৈতিক দলগুলো এ আন্দোলন চালিয়ে আসছে। সরকার একদিকে বলছে তারা সুষ্ঠু নির্বাচন দেবে। অন্যদিকে তারা আগে থেকেই তাদের জয় ঘোষণা করে রেখেছে।’

তিনি বলেন, ‘১৯৯৫ সালে দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না বলে সারাদেশে আন্দোলন করেছিল আওয়ামী লীগ। চলমান সরকার ব্যবস্থা ভেঙে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা করে তারা নির্বাচনে গিয়েছিল। আজকে তারা বারবার সংবিধানের দোহাই দেয়। আমরা পরিষ্কার করে বলেছি, জনগণের জন্য যা কিছু দরকার তার সব কিছুই সংবিধানের মাধ্যমে করা যায়। কেননা সংবিধান সংসদের একটি পরিপূরক ব্যাপার। তাই ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য সংবিধান পরিবর্তন করে হলেও সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের কাছে জনপ্রিয় হতে পারে। আর যদি তা না করে সংবিধানের দোহাই দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন না করে তাহলে জনগণ আপনাদেরকে স্বৈরাচারী শাসকের ইতিহাসে স্থান দেবে।’

সাকি আরও বলেন, ‘সংলাপের আয়োজন দেখে আমরা ভেবেছিলাম সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় হয়েছে। তারা প্রথমে বলেছিল কোনো সংলাপ হবে না। অবশেষে পরে তারা সংলাপের আয়োজন করল। আমরাও সংলাপে গিয়েছি। সংসদ ভেঙে দেয়ার দাবি তুলেছি।’

জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘দেশে যারাই ক্ষমতায় যায় তারাই স্বৈরশাসকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়। ক্ষমতাকে জমিদারিতে পরিণত করে। তাই আমাদের এ ধরনের সব ক্ষমতা কাঠামোর পরিবর্তন ঘটাতে হবে।’

বিক্ষোভ সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন আয়োজক সংগঠনের সমন্বয়ক সাইফুল হক, মানুষ নন্দী, বজলুল রশিদ ফিরোজ প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার একাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা। তফসিল অনুযায়ী আগামী ২৩ ডিসেম্বর ভোটগ্রহণ। মনোনয়নপত্র দাখিল ১৯ নভেম্বর, যাচাই-বাছাই ২২ নভেম্বর এবং প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২৯ নভেম্বর।

(ওএস/এসপি/নভেম্বর ১০, ২০১৮)