স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, “৫ জানুয়ারির প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে গায়ের জোরে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখলকারীদের বিরুদ্ধে গোটা জাতি যখন সোচ্চার, তখন তারা অস্থির ও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।

তারা (সরকার) আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দলীয় সন্ত্রাসী বাহিনীর মতো ব্যবহার করে গণহত্যা চালাচ্ছে।”

শুক্রবার দুপুরে এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।

বিবৃতিতে ফখরুল অভিযোগ করেন, “বৃহস্পতিবার রাতে সাতক্ষীরা জেলাধীন তালা উপজেলা বিএনপি নেতা এস এম বিপ্লবকে গতরাতে পুলিশ বাসা থেকে ধরে নিয়ে যাওয়ার পর পরে বন্দুকযুদ্ধের নামে পায়ে গুলি করে অকথ্য নির্যাতন চালাতে থাকে। এক পর্যায়ে সেই এলাকার আওয়ামী সন্ত্রাসীরাও পুলিশের সহযোগী হয়ে বিপ্লব এর ওপর অমানুষিক ও পৈশাচিকভাবে মারধর শুরু করে। প্রচণ্ড মারের আঘাতে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।”

মির্জা ফখরুল এই হত্যাকাণ্ডের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, “সর্বক্ষেত্রে বর্তমান সরকারের সীমাহীন ব্যর্থতা, বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের নির্মমভাবে হত্যা, মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে নিক্ষেপ, দুর্নীতি, সন্ত্রাস, নৈরাজ্য এবং কাণ্ডজ্ঞানহীন উস্কানিমূলক বক্তব্য ও হিংসাত্মক আচরণে দেশের মানুষ ভয়াবহ নির্মমতার যাতাকলে পিষ্ট হচ্ছে। এমন সংঘাতপূর্ণ অনিশ্চিত পরিবেশ বাংলাদেশে এর আগে আর কখনো সৃষ্টি হয়নি।”

বিবৃতিতে মির্জা আলমগীর বলেন, “গত ৫ জানুয়ারির প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে গায়ের জোরে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখলকারীদের বিরুদ্ধে গোটা জাতি যখন সোচ্চার তখন তারা আরো অস্থির ও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে তারা দলীয় সন্ত্রাসী বাহিনীর মতো ব্যবহার করে গণহত্যা চালাচেছ। একই সঙ্গে দলীয় সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের দিয়ে বিরোধী দলের নেতা-কর্মী এবং সাধারণ জনগণের ওপর প্রকাশ্য হামলা চালানোর মদদ দেয়া হচ্ছে।”

এস এম বিপ্লবকে হত্যাকারী পুলিশ ও আওয়ামী সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান মির্জা ফখরুল।তিনি নিহতের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে শোকাহত পরিবারের সদস্যবর্গের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।

(ওএস/এটিআর/জুলাই ১৮, ২০১৪)