লাইফস্টাইল ডেস্ক : লেবুর কথা উচ্চারণ হলেই প্রথমে কেউ কেউ লেবুর স্যুপ, লেবুর শরবত অথবা খাবার প্লেটে থাকা এক টুকরো লেবুকে কল্পনা করেন। তবে লেবু যে আরও বেশি কাজে লাগে তা পরিপূর্ণভাবে হয়ত জানার সুযোগ হয়নি। লেবুর প্রধান উপকারিতা হলো ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস ইত্যাদি তৈরি করে রোগ বালাই দূরীকরণ এবং শরীরের সার্বিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি। এতে হজম শক্তি বাড়ানো এবং যকৃৎ পরিষ্কারের মাধ্যমে ওজন কমানোর ক্ষমতাও আছে। আসুন জেনে নিই লেবুর দশটি স্বাস্থ্য উপকারিতা-

১.লেবুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও লৌহ । যা ঠাণ্ডাজ্বর জাতীয় রোগের জন্য উপকারী। আরো আছে পটাসিয়াম, যা মস্তিষ্ক এবং স্নায়ুকে সক্রিয় রাখে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।

২.লেবুর খোসা কালো দাগ, বলি রেখা, বার্ধক্যের ছাপ দূর করতে সাহায্য করে। লেবুতে থাকে বিভিন্ন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ব্রণ বা অ্যাকনি সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া দূর করে। ত্বক ভালো রাখতে লেবু খাবার পাশাপাশি খোসা বেটে পেস্ট করে সরাসরি ত্বকে লাগাতে পারেন।

৩.লেবুতে প্রচুর পরিমাণের ভিটামিন সি আছে । আঁশজাতীয় পদার্থ ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে রাখে। ফলে ওজন কমে। দেহে প্রতিদিন 'ভিটামিন সি'র চাহিদার ৩০ শতাংশ পূরণ করতে পারে লেবু।

৪.লেবু শরীরে মূত্রের পরিমাণ বৃদ্ধি করে এবং খুব দ্রুত ক্ষতিকর ও বিষাক্ত পদার্থ শরীর থেকে বের হয়ে যায়। মূত্রনালির স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়ক।

৫.প্রাণচাঞ্চল্য বাড়িয়ে দিতেও লেবুর জুড়ি নেই। খাবার থেকে শক্তি শোষণের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। লেবুর গন্ধে মন ফুরফুরে হয়ে যাবে। দুশ্চিন্তা এবং বিষণ্ণতা দূর করে।

৬.প্রতিদিন সকালে একগ্লাস লেবু পানি পান করলে, রাতে ঘুমানোর সময় যে পানি খরচ হয় তা পূরণ হবে।

৭.লেবুর রস নিঃশ্বাসে সতেজতা আনে। গরম পানির সঙ্গে লেবুর রস পানে দাঁতের ব্যথা এবং জিঞ্জিভাইটিসের উপশম হয়। এটা পানের পরপরই দাঁত ব্রাশ করবেন না, কারণ সাইট্রিক এসিড দাঁতের এনামেল ক্ষয় করে ফেলে। আগে দাঁত ব্রাশ করে তারপর পান করা ভালো।

(ওএস/এসপি/নভেম্বর ১১, ২০১৮)