স্টাফ রিপোর্টার : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর প্রথম বৈঠকে বসেছে মন্ত্রিসভা। সোমবার (১২ নভেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এ বৈঠক শুরু হয়।

সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর সরকার রুটিন দায়িত্ব পালন করবে। মন্ত্রিসভা বৈঠকও হবে, তবে সেখানে নীতি-নির্ধারণী কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হবে না, কোনো আইনও পাস হবে না।

মন্ত্রিসভা বৈঠকে ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহে যাওয়া বিভিন্ন বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের ক্যামেরাপার্সনরা জানিয়েছেন, বৈঠকে তারা মন্ত্রিসভার অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে পদত্যাগপত্র জমা দেয়া টেকনোক্র্যাট চার মন্ত্রীকেও দেখেছেন।

মন্ত্রিসভা বৈঠকের বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম আজ দুপুর ২টায় ব্রিফিং করবেন। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

নির্বাচনকালীন সরকার গঠনে গত ৬ নভেম্বর মন্ত্রিসভা বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টেকনোক্র্যাট (সংসদ সদস্য না হয়েও বিশেষ বিবেচনায় মন্ত্রী) মন্ত্রীদের পদত্যাগের নির্দেশ দেন। ওইদিনই বিকেল থেকে সন্ধ্যার মধ্যে চারমন্ত্রী মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পদত্যাগপত্র জমা দেন।

পদত্যাগপত্র জমা দেয়ার পর তারা আর দায়িত্বে নেই ধরে নিয়ে পরের দিন বুধবার সকাল নাগাদ চার মন্ত্রী অফিস না করার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু পদত্যাগপত্র গ্রহণ করে প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়া পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন।

বর্তমানে মন্ত্রিসভায় প্রধানমন্ত্রী ছাড়া ৩৩ জন মন্ত্রী, ১৭ জন প্রতিমন্ত্রী, দুইজন উপমন্ত্রী রয়েছেন। তাদের মধ্যে টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী চারজন।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা গত ৮ নভেম্বর সন্ধ্যা ৭টায় জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে আগামী ২৩ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণের দিন নির্ধারণ করা হয়েছে বলে ঘোষণা দেন। তফসিল ঘোষণার পর এখন পর্যন্ত ওই চার মন্ত্রীর প্রত্যাগপত্র গ্রহণের প্রজ্ঞাপন হয়নি, এমনকি মন্ত্রিসভায়ও কোনো রদবদল আনা হয়নি।

(ওএস/এসপি/নভেম্বর ১২, ২০১৮)