নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার শালবাড়ি মানিকপাটন গ্রামের অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ মিষ্টি রাণী মহন্ত (২০) কে খুন করে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে মরদেহ ঝুলে রাখার অভিযোগ করা হয়েছে।

সোমবার দায়েরকৃত অভিযোগের প্রেক্ষিতে নওগাঁ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিজ্ঞ বিচারক নিয়ামতপুর থানার অফিসার ইনচার্জকে অভিযোগটি এফআইআর হিসেবে গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো ইনভেষ্টিগেশনের (পিবিআই) মাধ্যমে তদন্ত করে রিপোর্ট দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল মামলা নং ৩৮২/২০১৮ (নারী শিশু মিসকেস)।

মামলার আর্জিতে বলা হয়েছে, নওগাঁর মধ্যদূর্গাপুর গ্রামের অদ্বৈত্য কুমার মহন্তের কন্যা মিষ্টি রাণী মহন্তকে বিয়ে করে নিয়ামতপুরের মানিকপাটন গ্রামের শ্রীপদ মহন্তের পুত্র মিঠুন চন্দ্র মহন্ত। বিয়ের সময় নগদ ২ লাখ টাকাসহ স্বর্ণালঙ্কার ও আসবাবপত্রসহ মোট ৪ লাখ টাকা যৌতুক হিসেবে গ্রহণ করে। কিছুদিন যেতে না যেতে মিঠুন আরো ৩ লাখ টাকা যৌতুক হিসেবে দাবি করে। এই টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে গৃহবধূ মিষ্টির ওপর নেমে আসে অকথ্য নির্যাতন।

ইতোমধ্যেই মিষ্টি ৫ মাসের অন্তঃসত্বা হয়ে পড়ে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৭ অক্টোবর রাতে শয়নঘরে অন্তঃসত্বা গৃহবধূ মিষ্টি রানীকে শ্বশুর, শ্বাশুড়ি, জা, ভাসুরের কুপ্ররোচনায় স্বামী মিঠুন মারপিট করে রক্তাক্ত জখম করে শ্বাসরোধে হত্যা করে। এরপর স্বামীর পরিবারের লোকজন গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঘরের চালের সঙ্গে মরদেহ ঝুলিয়ে রাখে। তারা মিষ্টির মা-বাবার কাছে কোন সংবাদ পর্যন্ত দেয়নি। প্রতিবেশীদের কাছ থেকে খবর পেয়ে মিষ্টির বাবাসহ লোকজন যাবার আগেই মরদেহ পুলিশ থানায় নিয়ে যায়।

নিহত মিষ্টির বাবা অদ্বৈত্য কুমার মহন্ত জানান, থানায় গিয়ে এই মৃত্যুর ব্যাপারে এজাহার দাখিল করতে চাইলে আসামীদের পক্ষের কিছু প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের প্রভাবে থানা পুলিশ মামলা গ্রহণ করতে রাজি হয়নি। তিনি কন্যা হত্যার ন্যায় বিচার পাওয়ার আশায় আদালতের স্মরনাপন্ন হয়েছেন বলে জানান।

(বিএম/এসপি/নভেম্বর ১২, ২০১৮)