আঞ্চলিক প্রতিনিধি, বরিশাল : বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ দেখে আগৈলঝাড়ায় মাদকসেবী যৌতুক লোভী স্বামীর নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়ে বাবার বাড়িতে আশ্রয় নেয়া সেই সীমা বেগমের পাশে সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিপুল চন্দ্র দাস।

মঙ্গলবার ইউএনও’র কার্যালয়ে নির্যাতিতা সীমা বেগমকে ডেকে তার দুগ্ধপোষ্য শিশু কন্যা নিয়ে বেঁচে থাকার জন্য দুই বছর মেয়াদী ভিজিডি কার্ডের ব্যবস্থা করে দেন নির্বাহী কর্মকর্তা।

এসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিপুল চন্দ্র দাস উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা দীপিকা রানী সেনকে তার কর্যালয়ে ডেকে নিগৃহীত সীমা বেগমকে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের আওতায় সেলাই প্রশিক্ষণ দিয়ে একজন দক্ষ দর্জি হিসেবে তৈরী করে সীমাকে লোন দিয়ে সেলাই মেশিন কিনে দিয়ে কাজ করে স্বাবলম্বী করার নির্দেশনা প্রদান করেন।

প্রসঙ্গত, উপজেলার বাকাল গ্রামের মৃত তাজেম হাওলাদারের মেয়ে সীমা বেগমের সাথে দুই লাখ টাকা, স্বর্ণালংকার দিয়ে পাঁচ বছর পূর্বে একই উপজেলার পূর্ব সুজনকাঠী গ্রামের ইউনুস সরদারের ছেলে মো.সোহাগ সরদারের সাথে সামাজিকভাবে শরিয়া মোতাবেক বিয়ে হয়।

বিয়ের কিছু দিন পর সীমা জানতে পারে সোহাগ একজন ইয়াবাসেবী ও ব্যবসাীয়। তার সাথে বিয়ের আগে সোহাগ আরও চারটি বিয়ে করে গোপন রেখেছে।

বিয়ের পর থেকেই দুই লাখ টাকা যৌতুকের জন্য সোহাগ মাদক সেবন করে সীমার উপর নির্যাতন চালিয়ে আসছিল। দাম্পত্য জীবনে তাদের হাবিবা নামের একটি মেয়ে রয়েছে। যার বয়স বর্তমানে প্রায় তিন বছর।
স্বামী সোহাগের চাহিদানুযায়ি যৌতুক দিতে না পারায় গত তিন মাস আগে সীমাকে মারধর করে দুগ্ধপোষ্য শিশু কন্যাসহ তার বাবার বাড়ি তারিয়ে দেয় পাষন্ড স্বামী সোহাগ সরদার। সেই থেকে সীমা তার দিনমজুর ভাই বোনের সংসারে বসবাস করছে। এ সংক্রান্ত একটি সংবাদ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশের পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নজরে পরে অসহায় সীমা।

এদিকে স্বামীর নির্যাতরে প্রতিকার চেয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে নির্যাতিত সীমা বেগম।

(টিবি/এসপি/নভেম্বর ১৮, ২০১৮)