আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ঘূর্ণিঝড় ‘গাজা’ আঘাত হেনেছে ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যে। আর স্থলভাগে আছড়ে পড়ার পরই ব্যাপক তাণ্ডব শুরু করেছে। মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৬ জনের।

বৃহস্পতিবার রাতে তামিলনাড়ুর নাগাপট্টিনম, তিরুভারুর এবং তাঞ্জাভুরে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় গাজা। ওই সমস্ত এলাকা আগেই ফাঁকা করে দেয়া হয়েছিল। দুর্ঘটনা এড়াতে প্রায় ৭৬,০০০ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ৪০০ ত্রাণ শিবির গড়ে তুলেছে মানুষদের আশ্রয় দেয়ার জন্য।

ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর, আবহাওয়া সূত্র বলছে, তামিলনাড়ুর ৬ জেলায় রাত আড়াইটা থেকে শুরু হয়েছে তুমুল বৃষ্টি। সঙ্গে প্রবল ঝড়ো হাওয়া। আছড়ে পড়ার সময় গাজার গতিবেগ ছিল প্রায় ১২০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়। নাগাপট্টিনমে ৫০০০ এবং তিরুভারুরে ৪০০০ এবং তাঞ্জাভুরে ৩০০০টি বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে গেছে। ফলে এলাকা বিদ্যুৎ-বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ভেঙে পড়েছে প্রচুর বড় গাছপালাও। পরিস্থিতি যা দাঁড়িয়েছে তাতে ঝড় থামার পর অন্তত দু’দিন লাগবে বিদ্যুতের খুঁটিগুলো মেরামত করে এলাকায় বিদ্যুৎ ফেরাতে। এখনও পর্যন্ত যা হিসাব তাতে অন্তত ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৫ জন দেওয়াল চাপা পড়ে এবং ১ জন বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছেন।

পরিস্থিতি সামাল দিতে উপকূলবর্তী এলাকায় জারি করা হয়েছে লাল সতর্কতা। সতর্কতা জারি করা হয়েছে কেরাল এবং আন্দামান ও নিকোাবরে। তামিলনাড়ুতে বন্ধ রাখা হয়েছে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। তৈরি থাকতে বলা হয়েছে নৌবাহিনী এবং তামিলনাড়ুর বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে।

তামিলনাড়ুর পাশাপাশি কেরালেও ঝড়ের বেশ প্রভাব পড়েছে। সেখানেও ঝড়ের সঙ্গে বৃষ্টিপাত চলছে।

(ওএস/এসপি/নভেম্বর ১৬, ২০১৮)