স্টাফ রিপোর্টার : সেদিন আমরা শক্তি প্রয়োগ করতে চাইলে সেটা ছিল ‘ম্যাটার অব মিনিট।’ যেকোনো অবৈধ জনতা ছত্রভঙ্গ করার সক্ষমতা ডিএমপির ছিল। বড়সড় সমাবেশ ‘ডিসপাচ’ করার আমাদের যে সক্ষমতা তার বিশ্বজুড়ে সুনাম রয়েছে। কিন্তু আমরা তা না করে তাদের অনুরোধ করেছিলাম। কিন্তু তারা হেলমেটসহ লাঠিসোটা নিয়ে পুলিশকে আক্রমণ করেছিল।

শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে আয়োজিত এক নাগরিক সংলাপে ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম এসব কথা বলেন।

‘উগ্রবাদ-সহিংসতা প্রতিরোধে তরুণদের সম্পৃক্তকরণ’ শীর্ষক এ নাগরিক সংলাপের আয়োজন করে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি।

গত বুধবার নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে সহিংসতার ঘটনার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সিটিটিসি প্রধান বলেন, নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী মিছিল-সমাবেশ করে মনোনয়ন ফরম উত্তোলন বা জমা দেয়ার সুযোগ নেই। যেকোনো অবৈধ জনতা ছত্রভঙ্গ করার সক্ষমতা ডিএমপির ছিল। তাদের অনুরোধ করেছিলাম, কিন্তু তারা হেলমেটসহ লাঠিসোটা নিয়ে পুলিশকে আক্রমণ করেছিল। এতো লাঠি তো আর মাটির নিচ থেকে আসেনি। পুলিশের দুটি গাড়ি পুড়িয়ে দেয়া হয়েছিল এবং পুলিশের গাড়ির ওপর উঠে যে লাফালাফির দৃশ্য আপনারা দেখেছেন এটি কোনভাবেই আইনি কর্মকাণ্ড নয়।

তিনি বলেন, সেখানে অনেক মানুষ ছিল, কিন্তু যারা সুনির্দিষ্টভাবে হামলায় জড়িত ছিল ফুটেজ দেখে তাদের শনাক্ত করা হয়েছে। শুধুমাত্র তাদেরকে কেন্দ্র করেই তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিনা কারণে কাউকে এই মামলায় আসামি করা হয়নি।

মনিরুল ইসলাম বলেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অবাধ ও সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে আইনি পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। তবে কেউ ফৌজদারি অপরাধে লিপ্ত না হলে কারো বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেয়া হচ্ছে না।

মনিরুল ইসলাম বলেন, ইতোমধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা নির্বাচন কমিশনের অধীনে কাজ করছি। নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে এবং নির্বাচনী পরিবেশ নিশ্চিত করতে বিভিন্ন আইনি পদক্ষেপ অব্যাহত রয়েছে। কেউ ফৌজদারি অপরাধে লিপ্ত না হলে এবং নির্বাচনী আচরণবিধি লংঘন না হলে কারও বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হবে না। কথা দিচ্ছি, শুধুমাত্র ফৌজদারি অপরাধ সংগঠিত হলেই আমরা আইন প্রয়োগে বাধ্য হবো।

জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে মানুষের সচেতনতা বেড়েছে এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সক্ষমতা বেড়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, নির্বাচনকে ঘিরে আমাদের নানাবিধ প্রস্তুতি রয়েছে। ইতোপূর্বে দেশের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালিত হয়েছে, এর ফলে জঙ্গি সংগঠনগুলোর অপারেশনাল ক্যাপাসিটি কমে গেছে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জঙ্গি হামলার আশঙ্কা নেই। তবে এতে আত্মতুষ্টিতে ভোগার কারণ নেই, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক রয়েছে।

(ওএস/এসপি/নভেম্বর ১৬, ২০১৮)