গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি : গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে কীটনাশক খেয়ে পাগল হওয়া  একটি হাতি বিভিন্ন ব্যবসা  প্রতিষ্ঠানে তান্ডব চালিয়েছে। পরে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে হাতিটিকে বিষনাশক ভ্যাকসিন দিয়ে সুস্থ করে মালিককে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। 

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে একটি পোষা হাতিকে নিয়ে মাহুত গোবিন্দগঞ্জ-মহিমাগঞ্জ সড়ক দিয়ে যাচ্ছিল। পথে মধ্যে উপজেলার কোচাশহর বাজার থেকে এক পথচারী ফসলে কীট নাশক দেয়ার জন্য পলিব্যাগে করে (ফুরাডান) নিয়ে বাড়ী ফিরছিল।

এমন সময় হাতিটি সুর দিয়ে পলিব্যাগসহ ফুরাডনের প্যাকেটটি পথচারির হাত থেকে নিয়ে খেয়ে ফেলে। কিছুক্ষন পর কীটনাশকের বিষক্রিয়ায় হাতিটি পাগল হয়ে মাহুতকে ফেলে দিয়ে দোকান পাটে তান্ডব চালিয়ে ছোঁটাছুটি করতে থাকে। এ ঘটনায় পুরা এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে ঘন্টা খানেক পর বিষক্রিয়ায় হাতিটি পার্শ্ববর্তী একটি পুকুরে পরে গিয়ে নিস্তেজ হয়ে যায়।

এ খবর পেয়ে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক সেবাষ্টিন রেমা দ্রুত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রামকৃষ্ণ বর্মনকে এ পাগল হাতি থেকে সাধারন মানুষজনকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়া ও হাতিটির চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ্য করে মালিককে বুঝিয়ে দেয়ার নির্দেশ দেন।

এ নির্দেশনা পেয়ে উপজেলা দুর্যোগ ও ত্রাণ বিষয়ক কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম ও উপজেলা ভ্যাটেনারি সার্জেন বেলাল হোসেন, এস আই হাফিজের তত্বাবধানে রংপুর রেঞ্জের (রিজার্ভ ফোর্স) পুলিশ সদস্য প্রকাশ কুমার স্থানীয়দের সহায়তায় পুকুরে নেমে হাতিটিকে আশংকাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে। এরপর হাতিটিকে বিষক্রিয়া নাশক ভ্যাকসিন করলে তার ২০মিনিট পর হাতিটি সুস্থ ও স্বভাবিকহয়। পরে হাতির মালিককে হাতিটি বুঝিয়ে দেয়া হয়। এঘটনা এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হলে হাতিটি দেখার জন্য হাজার-হাজার উৎসুক জনতা ঘটনাস্থলে ভীড় করে।

উপজেলা ভ্যাটেনারী সার্জেন ডা. বেলাল হোসেন জানান, ফুরাডান খাওয়া হাতিটিকে বিষ নাশক ভ্যাকসিন দেয়ার পর হাতিটি এখন সুস্থ আছে ।

গোবিন্দগঞ্জ থানার অফিসার ইন চার্জ এ কে এম মেহেদী হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বিষক্রিয়ায় হাতিটি পাগল হয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে তান্ডব চালালেও কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

(এসআরডি/এসপি/নভেম্বর ১৬, ২০১৮)