সমরেন্দ্র বিশ্বশর্মা, কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) : আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবার কথা ৩০ ডিসেম্বর। বিজয়ের মাস ডিসেম্বরে এই নির্বাচনে আওয়ামীলীগ দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মনের আশা এবং সকল প্রকার জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে কার ভাগ্যে জুটবে নৌকা, কে হচ্ছেন নেত্রকোনা-৩ আসনের নৌকার মাঝি? এ প্রশ্নই একন সবার মুখে মুখে ফিরছে। সব মনোনয়ন প্রত্যাশীর নেতাকর্মী ও সমর্থকরা একজন অপরজনের কাছে এই প্রশ্নই রাখছেন কবে হবে প্রার্থী মনোনয়নের চূড়ান্ত ঘোষনা, এই ঘোষণায় অবশেষে কার নাম আসছে? প্রতীক্ষার এ প্রহর গুণছেন এখন সবাই খুব সতর্কতার সঙ্গে।

তাদের কাছে প্রশ্ন করলে সঙ্গে সঙ্গে উত্তর আসে, কার ভাগ্যে আছে নৌকা তা একমাত্র জানেন পরম করুনাময় সৃষ্টিকর্তা। এর পর জানেন বঙ্গবন্ধু কণ্যা বিশ্ব মানবতার জননী মমতাময়ী প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা। বিশ্লেষক গণের মতে প্রার্থী মনোনয়নের ক্ষেত্রে পার্লামেন্টরি বোর্ডের সভাপতি শেখ হাসিনার সামনে একটি কঠিন চ্যালেঞ্জ। কেননা অকেই বলছেন আগামী নির্বাচনের মাধ্যমে নৌকার বিজয় ঠেকাতে চলছে নানমুখি ষড়যন্ত্র।

যে সব নেতারা এতদিন মুক্তিযুদ্ধের কথা বলছেন, সেই নেতারা আওয়ামীলীগ তথা নৌকার বিপক্ষে ঐক্য ফ্রন্টে। ঐক্র ফ্রন্টে নেতা ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে যোগ দিয়েছেন বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী সহ আরো অনেকেই। তারা বি.এন.পির ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করার জন্য জোট বেধেছেন। তাদের লক্ষ্য ও উদ্দ্যেশ্য দেখে মনে হয় ক্ষমতায় যাবার স্বপ্নে বিভোর। তাদের সেই স্বপ্ন ভঙ্গ করে দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ধরে রাখার জন্য প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় আওয়ামীলীগের এমন একজন গ্রহণযোগ্য প্রার্থী আশা করছেন দলের হাজার হাজার নেতাকর্মী ও সমর্থক, যিনি নির্বাচনী এলাকায় দলের ঐক্যের জন্য নৌকার ভোট বাড়াতে এতদিন মাঠে কাজ করেছেন, চেষ্টা করেছেন সকলকে নিয়ে এক মঞ্চে ওঠাতে, যিনি সকল মনোনয়ন প্রত্যাশীদের নিয়ে এক মঞ্চে ওঠে কথা বলতে পারবেন এবং এক টেবিলে বসে কথা বলতে পারবেন, সেরকম একজন প্রার্থীর মনোনয়ন আশা করছেন নেতাকর্মী ও সমর্থকরা।

নেত্রকোনা-৩ আসনও এর ব্যতিক্রম নয়। বঙ্গবন্ধু কণ্যা শেখ হাসিনা আগামী নির্বাচনে সর্বজন গ্রহণযোগ্য সেরকম একজন প্রার্থীর হাতেই নৌকা প্রতীক তুলে দেবেন বলে আশা করছেন নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। যিনি দলের মনোনয়ন পেয়ে ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে ছেলে বুড়ো সকল শ্রেণিপেশার নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ঐক্যবদ্ধ করে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করে শেখ হাসিনাকে বিজয় মুকুট পড়াতে পারবেন। সেরকম একজন প্রার্থীই চায় জনতা।

শুক্রবার কেন্দুয়া ও আটপাড়া উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক, সাংবাদিক, কৃষক, শ্রমিক, ইমাম, পুরোহিত এবং সকল শ্রেণি পেশা সহ সাধারন খেটে খাওয়া জনতা যারা নৌকায় ভোট দেবেন তারাই বলছেন যোগ্যতার মাপকাঠিতে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের দাবীতে কারো চাইতে কারো যোগ্যতা কোন অংশেই কমতি নেই।

এরমধ্যে কারো রাজনৈতিক বড় যোগ্যতা, কারো দাবি সততার, কারো এলাকায় জনপ্রিয়তা এবং কারো দলীয় সব নেতাকর্মীদের বাইরেও সকল শ্রেণিপেশার মানুষের প্রিয় নিরহংকার ব্যক্তি এবং সবার সঙ্গে হাসি মুখে কথা বলার মানুষ। এসব হিসাবের চুল ছেড়া বিশ্লেষনে রাষ্ট্রপতি এডভোকেট মো: আব্দুল হামিদের স্নেহধন্য বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রথম প্রতিবাদকারী বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট মো: সাইদুর রহমান মানিকের নামটি বেশি বিবেচনায় আনেন।

মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার মো: বজলুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান হাবিব, আওয়ামীলীগ নেতা উজ্জল দত্ত, আওয়ামীলীগ নেতা আতিকুর রহমান তালুকদার চুন্নু, হাফেজ মাওলানা রুহুল আমিন, পুরোহিত সজল চক্রবর্তী ও আওয়ামীলীগ নেতা নূরুল হুদা বলেন, প্রথমত মো: সাইদুর রহমান মানিক একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, দ্বিতীয়ত ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগষ্ট কিশোরগঞ্জ শহরে বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রথম প্রতিবাদকারীদের অন্যতম, তৃতীয়ত বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সভাপতি শেখ হাসিনা মনোনিত সভাপতি প্রার্থী হয়ে এশিয়া মহাদেশের ঐতিহ্যবাহী পেশাজীবী সংগঠন ঢাকা বারের নির্বাচনে ২০১৭ সালে বিপুল ভোটে সভাপতি নির্বাচিত, চতুর্থত বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী কল্যান পরিষদের আহ্বায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য, পঞ্চতম বাংলাদেশ চলচিত্র প্রযোজনা ও পরিচালনা সমিতির সাবেক সফল সাধারন সম্পাদক, ষষ্ঠতম অর্থনৈতিকভাবে পরিপূর্ণ একজন স্বয়ংসম্পূর্ণ ব্যক্তি, সপ্তমত ঐতিহ্যবাহী শিক্ষিত পরিবার হিসেবে তার স্ত্রী আকলিমা জহির রীতা মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক কুষ্টিয়া ভেরামারা থেকে নির্বাচিত প্রাক্তন সংসদ সদস্য রাজা জহুরুল হকের কণ্যা বাংলাদেশ সরকারের সাবেক যুগ্ম সচিব, তার ছেলে সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রাজা সুমিত রহমান অমিত, কণ্যা ব্যারিষ্টার অদিতি রহমান দোলা, অষ্টমত ছোট ভাই হানিফ কলেজের অধ্যাপক এবং আরেক ছোটভাই আমিনুর রহমান খান পাঠান নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান।

তাদের দাবি এসব দিক বিবেচনায় যোগ্যতার বিচারে মানিক সবার উপরে। তাছাড়া তিনি দলের নেতাকর্মীদের মাঝে কোন গ্রুপিং সৃষ্টি করেননি এজন্যই আওয়ামীলীগের পার্লামেন্টারী বোর্ডের সভাপতি এলাকার তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মতামত ও বিভিন্ন সংস্থার রিপোর্টের ভিত্তিতে মুক্তিযোদ্ধা মো: সাইদুর রহমান মানিকের হাতেই তুলে দিতে পারেন নৌকা প্রতীক। যদি পরম করুনাময় সৃষ্টি কর্তা এবং মমতাময়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সদয় হন সেক্ষেত্রে সব মুক্তিযোদ্ধারা মনে করেন নৌকা প্রতীক সাইদুর রহমান মানিক পেলেই আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৯৭১ সনের মতো মহান মুক্তিযুদ্ধে প্রতিপক্ষকে পরাজিত করে যুদ্ধ জয়ের মতোই হবে মানিকের নৌকার বিজয়।

(এসবি/এসপি/নভেম্বর ১৬, ২০১৮)