কক্সবাজার প্রতিনিধি : কক্সবাজার শহরে একটি মোটর সাইকেল সহ একজন কে আটকের ঘটনার জের ধরে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা কক্সবাজার সদর থানায় হামলা, ভাংচুর চালিয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ গুলি বর্ষণ করেছে। এতে কক্সবাজার পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি মুজিবুর রহমান সহ ২ জন আহত হয়েছে।

শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টা থেকে শুরু হওয়া এ ঘটনা রাত সাড়ে ৮ টা পর্যন্ত অব্যাহত ছিল।

পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শী, ছাত্রলীগের কর্মীরা জানিয়েছেন, বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে কক্সবাজার শহরের প্রধান সড়কের লালদিঘীর পাড় এলাকায় কক্সবাজার শহর ছাত্রলীগের হিমু নামের একটি কর্মী অবৈধ মোটর সাইকেল যোগে গেলে ট্রাফিক পুলিশ গতিরোধ করে। এসময় ওই ছাত্রলীগ কর্মী ট্রাফিক পুলিশকে টানা হেঁচড়া করে। এর প্রেক্ষিতে পুলিশের একটি দল ওই ছাত্রলীগ কর্মী সহ মোটর সাইকেলটি আটক করে। এর ঘটনার জের ধরে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আলী আহমদের নেতৃত্বে একদল ছাত্রলীগ কর্মীরা কক্সবাজার সদর থানা যান। ওখানে ছাত্রলীগের সভাপতি সাথে পুলিশের কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এর পর ছাত্রলীগ কর্মীরা থানা থেকে বের হয়ে প্রধান সড়কের ব্যারিকেট দিয়ে যানবাহন ভাংচুর শুরু করে। এক পর্যায়ে তারা মিছিল সহকারে কক্সবাজার থানায় গিয়ে ইটপাটকেল, নিক্ষেপ, ভাংচুর শুরু করে। একই সঙ্গে থানার পাশ্ববর্তী ট্রাফিক পুলিশের কার্যালয়, পুলিশের ব্যারাকে হামলা ও ভাংচুর চালায়। পরিস্থিতি খবর শুনে ঘটনাস্থলে যান কক্সবাজার পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি মুজিবুর রহমান সহ আওয়ামীলীগ নেতারা। তারা ছাত্রলীগে কর্মীদের নিয়ন্ত্রণে দফায় দফায় চেষ্টা চালান। কিন্তু এর পর হামলা ভাংচুর অব্যাহত থাকলে পুলিশ ফাঁকা গুলি বর্ষণ শুরু করে।

এতে কক্সবাজার পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি মুজিবুর রহমান সহ অপর একজনের গায়ে গুলির সামন্য আঘাত লাগে। তাদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

এর পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসলে ছাত্রলীগের কর্মী শহরের কয়েককটি পয়েন্টে বিচ্ছিন্নভাবে অবস্থান নিয়ে যানবাহন ভাংচুর করছে। ঘটনার পর থেকে কক্সবাজার শহরের পরিস্থিতি থমথমে রয়েছে।

কক্সবাজার সদর থানা সহ শহর জুড়ে বিপুল সংখ্যক পুলিশ লক্ষ্য করা গেছে। এব্যাপারে পুলিশ, ছাত্রলীগের পক্ষে কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

(টিটি/এস/জুলাই ১৯, ২০১৪)