কবি কিশোর কারুণিক’র চারটি কবিতা
হারায় না
ভালবাসা কখনো হারায় না
কখনো চুপ করে থাকে
কখনো আবডালে থাকে
কখনো মনের গহীনে গুমরে কাঁদে।
কখনো একনজর দেখার জন্য
ছটফটানি করে, রাগ হয় অভিমান করে;
ভালবাসা ক্ষণিকের চিরকালের-
চিরবিস্ময়ের আবেগের,
ভালবাসা ভরা নদীর মতো
যা কখনো ফুরায় না ।
রয়ে যাবে
সাজান গোছান সব কিছুর মাঝে
এখনো আমি রিক্ত,
তবু আশাবাদী
ভাল কিছু মঙ্গলময় কিছু;
যা জীবনের কঠিনতম সময়ে-
হবে হয়তো যা আমার জন্যে বন্টন করা ।
অনেক সময় অনেক কিছু
যা হারানোর ভয়,
যা না পাবার বেদনা
আশাহত দুঃস্বপ্নের রক্তক্ষরণ।
তবু চাই উপভোগ করতে
জীবনের নিয়ম প্রকৃতির বাঁধন।
জানি কেউ কারোর নয়
তবু আপন হতে ইচ্ছা হয়
ইচ্ছা হয় ছন্দে ছন্দে পা ফেলতে
হাতের মাঝে হাত রেখে
মনের সুখে গাইতে।
সবকিছু এক সময় শেষ হবে
স্বপ্ন বেঁচে থাকবে
যা রয়ে যাবে সময় অতিক্রম করে-
মহাকালের পাতায়।
পাবার আশায়
হৈমন্তি বিকালে দেখা করার কথা ছিল
স্নিগ্ধ বাতাস শরীর জুড়ে
চিন্তাতে, কথা বলাতে
শুধু ভালবাসা শুধু ভালবাসা
প্রেমের স্বর্ণক্ষণে
প্রীতির মিলনে
গুণগুণিয়ে গেয়ে উঠি গান
আমি ভাল আছি
কী যেন পাবার আশায়
কী যেন পাবার আশায়।
বাঁচাতে চাই
প্রড়ন্ত বিকেলে শষ্য সবুজের পাঠশালায়
নিজেকে হাজির করতেই
মনটা বেশ তরতাজা হয়ে গেল ।
চিন্তার সাথে অনুভূতির
আবেগের সাথে ভালবাসার
স্বপ্নের সাথে চাওয়া পাওয়ার-
এক প্রকার যেন যুদ্ধ!
আমি ভালবাসতে পারি
জানি, কখনো ভালবাসা পাব না
মানুষের ভাল চেয়েছি
জানি, আমার ভাল থাকার কথা নয়!
অধিক কষ্ট পাব আমি
আমাকে নির্যাতন করবার জন্য
আয়োজন করা হবে
সমাবেশ করা হবে;
ওরা জানে আমি একজন নিরহ মানুষ
আমি আমার নিজের ভাল চাইতে পারি না
শুধু ঠকে যাওয়া ঠকে যাওয়া
অবহেলিত জীবন পরিচ্ছেদে
আহা! জীবন তো আর চলে না
একে কি জীবন বলে?
আমি দেখেছি
আকাশের নির্মলতা
আকাশের ভয়ংকর রূপ
যে যেতে চায়, চলে যায়
তার জন্য পথ চেয়ে থাকা কী দরকার!
যে ভালবাসতে জানে না
তাকে ভালবাসা কোন মানেই হয় না!
জীনটাকে সাজাতে হবে
নিজের মতো করে
চিন্তা করতে হবে কীভাবে বেঁচে থাকা যায়
দূর্বর মানুষগুলোকে বাঁচানো যায়!
জীবনটা খুব সুন্দর
সুন্দর জীবনকে সুন্দরের মহিমায়
উৎস্বর্গ করে যেতে চাই
আমি বাঁচতে চাই
কাউকে না কাউকে
বাঁচাতেও চাই।