সমরেন্দ্র বিশ্বশর্মা, কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) : সব জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে নেত্রকোনা- ৩ আসনে (আটপাড়া-কেন্দুয়া) নির্বাচনী এলাকার সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে অবশেষে মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট মো: সাইদুর রহমান মানিকের ভাগ্যেই জুটবে নৌকা। চুল ছেড়া বিশ্লেষণ ও আট মানদন্ডের চূড়ান্ত হিসেবে নিকেশে মানিকের নামটিই বার বার ঘুরে ফিরে আলোচনায় আসছে তৃণমূলের হাজার হাজার নেতাকর্মী ও মুক্তিকামী জনতার মুখে। 

তারা দুহাত তুলে পরম করুনাময় সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করে বলছেন, নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রী ও পার্লামেন্টারি বোর্ডের সভাপতি শেখ হাসিনা মানিকের হাতেই যাতে তুলে দেন নির্বাচনের প্রতীক নৌকা। এ আশায় বুক বেঁধে আছেন তারা। একাদশ নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই প্রার্থী মনোনয়নের বিষয়টি নিয়ে সব দলের নেতাকর্মী সমর্থকরা খুব অস্থির সময় কাটাচ্ছেন।

কে হবেন নৌকার মাঝি, কে হবেন ধানের শীষের কান্ডারী আবার কে ধরবেন লাঙলের হাল এই আলোচনা সমালোচনা এখন হাটে ঘাটে মাঠে চলছে তুমুল ভাবে। নেত্রকোনা-৩ আসনে আওয়ামীলীগের এক ডজনেরও বেশি মনোনয়ন প্রত্যাশী নৌকার এবং নিজেদের পরিচিতি তুলে ধরার জন্য দীর্ঘদিন ধরে মাঠে গণ সংযোগ পথ সভা উঠান বৈঠক সভা সমাবেশ করছেন ।

দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকরা জোর দাবী করে বলেন, প্রত্যেক মনোনয়ন প্রত্যাশীই নিজ নিজ কৌশলে দলের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের বিভিন্ন ভাবে বিভক্ত করে এসব কর্মসূচি করেছেন। পদ পদবীদারী নেতাদের গুরুত্ব দিয়েছেন অনেক বেশি। পাশাপাশি একেবারে তৃণমূলের যারা বছরের পর বছর প্রতি নির্বাচনে নৌকা ভোট দিয়ে আসছেন তাদের কাছে নৌকার ভোট বাড়াতে কমেই গিয়েছেন অনেকেই।

তাদের দাবি এক দেড় বছরের মধ্যে মাঠে এসে সাইদুর রহমান মানিক একদম মিশেগেছেন তাদের মধ্যে। ঢাকা বারের সাবেক সভাপতি, বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রথম প্রতিবাদকারী বিশিষ্ট্য সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট মো: সাইদুর রহমান মানিকের জন্য দলের হাজার হাজার তৃণমূলের নেতাকর্মীরা দুহাত তুলে বিশ্ববিধাতার নিকট এখন প্রার্থনা করছেন, যেন মমতাময়ী প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সকল মহলের গ্রহণযোগ্য ও প্রিয় ব্যক্তি হিসেবে মুক্তিযোদ্ধা মানিকের হাতেই তুলে দেন নৌকা প্রতীক।

তাছাড়া বিভিন্ন ধর্মীয় উপাসনালয়, মসজিদ, মন্দির, মাজার ও আশ্রম সহ আধ্যাত্বিক জগতের সাধকেরাও মুক্তিযোদ্ধা মানিকের জন্য পরম করুনাময় ¯্রষ্টার কাছে প্রার্থনা করছেন, আগামী নির্বাচনে দেশরত্ন শেখ হাসিনা যাতে সাইদুর রহমান মানিকের নামটিই নির্বাচিত করেন নেত্রকোনা-৩ আসনের আওয়ামীলীগের প্রার্থী হিসেবে।

দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকরা বলছেন, তিনি নির্বাচনী মাঠে নৌকার প্রচারণায় এসে জোর কিংবা প্রভাবিত করে কোন নেতাকর্মীকে তার সঙ্গে আনার চেষ্টা করেননি। করেননি কারো কোন তীব্র সমালোচনা। তিনি বিভিন্ন পথসভায় বলেছেন যারা আওয়ামীলীগের পতাকা তলে থেকে সাম্প্রদায়ীক ভাষায় গালিগালাজ করেন তাদের আওয়ামীলীগ ছেড়ে অন্য কোন দলে যাওয়া উচিত। কেননা বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ বরাবরই একটি অসাম্প্রদায়ীক রাজনৈতিক সংগঠন। সকলকে নিয়ে আওয়ামীলীগের সব নেতাকর্মীদের ঐক্য করার চেষ্টা করেছেন বার বার।

গত ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে তিনি কেন্দুয়া আটপাড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতৃত্বে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে জাতীয় শোক দিবস পালনের আহ্বান জানিয়েছিলেন সংবাদ সম্মেলন করে অত্যন্ত জোড়ালো ভাবে। এ আহবানে তিনি অনেকাংশে সফলও হয়েছেন।

যতদূর জানা যায়, সকলকে নিয়ে শোক দিবসের কর্মসূচি পালনের জন্য দুই উপজেলার আওয়ামীলীগের তহবিল গঠনের জন্য অনেকেই অনুদান না দিলেও সাইদুর রহমান মানিক দুই লক্ষাধিক টাকার অনুদান নিয়ে দলের কর্মসূচি বাস্তবায়নে পাশে দাড়িয়েছেন। আর এই পাশে দাঁড়ানোর জন্য সে সময় তার প্রতি ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন কেন্দুয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মো: নূরুল ইসলাম, সাধারন সম্পাদক নূরুল আলম মো: জাহাঙ্গীর চৌধুরী, আটপাড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী মো: খায়রুল ইসলাম ও সাধারন সম্পাদক ফেরদৌস রাণা আঞ্জু সহ দুই উপজেলার ২০টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার দলের হাজার হাজার নেতাকর্মী।

তৃণমূলের নেতাকর্মীরা বলেন, একমাত্র সাইদুর রহমান মানিক সকলের কাছে একজন গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি। তিনি নৌকা প্রতীক পেলেই দলের সব মনোনয়ন প্রত্যাশী সহ নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করে সকল শ্রেণি পেশার মানুষকে সঙ্গে নিয়ে একটি অংশগ্রহণ মূলক নির্বাচনে প্রতিপক্ষের প্রার্থীকে শক্ত ভাবে মোকাবেলা করতে সক্ষম হবেন। পারবেন নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে। তিনি নিজেকে ইতিমধ্যে একজন অসাম্প্রদায়িক ব্যক্তি এবং সকল মানুষের বন্ধু ও আর্তপিড়িত, দুঃখী মানুষের ছোট ছোট সেবা দিয়ে আলোচনার শীর্ষে উঠে এসেছেন। এর প্রকৃত উদাহরণ লোক ঐতিহ্য সংগ্রাহক বাংলা একাডেমি পুরষ্কারপ্রাপ্ত কেন্দুয়া প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক অসুস্থ সাংবাদিক সন্তোষ সরকার।

ইসলামী ধর্ম সভা, পূজা পার্বণে ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে সকল মহলের কাছে একজন গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি হিসেবে নিজেকে উপস্থাপন করতে পারায় তৃণমূলের লাখো লাখো জনতা দৃঢ় আশা এবং শক্ত মনোবল নিয়েই তারা বলছেন রাষ্ট্রপতি এডভোকেট মো: আব্দুল হামিদের অতি কাছের মানুষ এবং প্রধানমন্ত্রী আওয়ামীলীগ সভাপতি দেশরত্ন শেখ হাসিনার স্নেহধন্য হয়ে বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রথম প্রতিবাদকারীদের অন্যতম ব্যক্তি মো: সাইদুর রহমান মানিকের ভাগ্যেই অবশেষে জুটবে নৌকা প্রতীক।

এ আশায় তারা শতভাগ সফল হবেন পরম করুণাময়ের দয়ায় এবং মমতাময়ী প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক বিচক্ষনতার দূরদৃষ্টির সহায়তায়।

(এসবি/এসপি/নভেম্বর ১৭, ২০১৮)