স্টাফ রিপোর্টার : নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। শনিবার সকাল থেকেই ঢাকা ও টাঙ্গাইলে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়।

১৯৭৬ সালের এই দিনে ঢাকার তৎকালীন পিজি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। পরে টাঙ্গাইলের সন্তোষে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়। কর্মসূচির মধ্যে ছিল সন্তোষে মাজারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন, মিলাদ-মাহফিল এবং আলোচনা সভা।

মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। মজলুম জননেতা ভাসানীর ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে টাঙ্গাইলে অবস্থিত মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়।

ভাসানীর মাজারে সকালে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আলাউদ্দিনের নেতৃত্বে শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও ছাত্র-ছাত্রীরা পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল ও বিভাগ, মওলানা ভাসানী রিসার্চ সেন্টার, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন, কর্মচারী সমিতি, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, মাভাপ্রিবি ছাত্রলীগ, ভাসানী পরিষদ ও বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসস্থ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকেও পৃথক পৃথকভাবে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।

এদিকে আজ ঢাকায় মওলানা ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ভাসানী স্মৃতি সংসদ রাজধানীর নয়াপল্টনে ভাসানী ভবনে আলোচনা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে। স্মৃতি সংসদের সভাপতি জিয়াউল হক মিলুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সাবেক ছাত্রনেতা নজমুল হক নান্নু, স্মৃতি সংসদের সাধারণ সম্পাদক সাবেক সংসদ সদস্য কাজী মুনিরুল হুদা, সহ-সভাপতি মনসুর আলী চুন্নু ও ন্যান্সি রহমান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

উল্লেখ্য, ১৮৮০ সালের ১২ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জের ধানগড়া গ্রামে মওলানা ভাসানী জন্মগ্রহণ করেন। সিরাজগঞ্জে জন্ম হলেও ভাসানী তার জীবনের সিংহভাগই কাটিয়েছেন টাঙ্গাইলের সন্তোষে।

(ওএস/এসপি/নভেম্বর ১৮, ২০১৮)