নবীগঞ্জ প্রতিনিধি : নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জে বখাটের ইভটিজিংয়ের কারণে কলেজে আসা-যাওয়া বন্ধ করে দিয়েও শান্তিতে থাকতে পরছেন না ছাত্রীর পরিবার। 

এ ঘটনায় মামলা দায়ের করে পরিবারটি পড়েছে বিপাকে। অভিযোগ উঠেছে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য বাড়িতে গিয়ে হামলা করেও করেছে ভাংচুর মামলার আসামী জায়েদুল। বর্তমানে ইভটিজিংয়ের শিকার কলেজ ছাত্রীর পরিবারটি রয়েছে চরম নিরাপত্তাহীনতায় বলে জানিয়েছেন। তারা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

সুত্রে জানা যায়, নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের মধ্যসমত গ্রামের মদব্বির হোসেন এর কন্যা স্থানীয় ইনাতগঞ্জ ডিগ্রি কলেজে যাওয়া-আসার সময় রাস্তাঘাটে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি প্রদর্শন ও উত্ত্যক্ত করতো একই ইউনিয়নের মধ্যসমত গ্রামের মৃত গফুর উল্লার পুত্র সিএনজি চালক জায়েদুল হক।

এদিকে গত ২৬ অক্টোবর ওই ছাত্রীর পিতা- মাতা বাড়িতে না থাকার সুযোগে একা পেয়ে ধর্ষনের চেষ্টা চালায় জায়েদুল। এ সময় জায়েদুল অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ওই ছাত্রীর আপত্তিকর বিভিন্ন ছবি মোবাইল ফোনে তুলে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়।

এ সময় তার শোর চিৎকার শুনে পাশের ঘর থেকে বড় বোন এগিয়ে আসলে তাকেও আঘাত করা হয়। রক্তাক্ত অবস্থায় আহতদের উদ্ধার করে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় কলেজ ছাত্রীর পিতা মদব্বির হোসেন বাদী হয়ে জায়েদুল হককে আসামী করে হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলা দায়ের করেছেন।

আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে নবীগঞ্জ থানা পুলিশকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। মামলা দায়েরের পর থেকেই মামলাটি তুলে নেওয়ার জন্য বিভিন্ন হুমকি ধামকি প্রদর্শন করছে আসামী পক্ষ।

নবীগঞ্জ থানার ওসি ইকবাল হোসেন বলেন, এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো নির্দেশনা আসেনি। নির্দেশনা পাওয়া মাত্রই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

(এম/এসপি/নভেম্বর ১৮, ২০১৮)