স্টাফ রিপোর্টার : নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্দেশনা অনুযায়ী গতকাল রবিবার রাত ১২টার মধ্যে সকল নির্বাচনী প্রচার সামগ্রী সরিয়ে ফেলার নির্দেশ থাকলেও রাজধানীর বেশির ভাগ এলাকা থেকে এখনও সরানো হয়নি পোস্টার-ব্যানারসহ অন্যান্য নির্বাচনী প্রচার সামগ্রী।

সোমবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এসব ব্যানার-ফেস্টুন-পোস্টার দেখা গেছে প্রায় সবখানেই। তবে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের বর্জ্য অপসারণ বিভাগ আজ সকাল থেকে এসব পোস্টার সরানোর কাজ শুরু করেছে।

নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী, ১৮ নভেম্বর রাত ১২টার মধ্যে মার্কেট, রাস্তা-ঘাট, যানবাহন ও বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি স্থাপনাসহ অন্যান্য জায়গায় যাদের নামে পোস্টার, লিফলেট, ব্যানার, ফেস্টুনসহ প্রচার সামগ্রী রয়েছে তাদেরকে এবং যেসব ব্যক্তি বা যৌথ মালিকানাধীন ভবন, প্রতিষ্ঠান, মার্কেট, যানবাহন ও স্থাপনায় প্রচার সামগ্রী রয়েছে সেসব প্রতিষ্ঠান ও মালিকদেরও স্ব স্ব উদ্যোগে এবং নিজ খরচে তা অপসারণ করতে হবে। এ ছাড়া এ বিষয়ে সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভাসহ বিভিন্ন স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহকে প্রযোজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।

উল্লেখিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ প্রতিপালন করা না হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানানো হয়।

সংসদ নির্বাচনের আচরণ বিধিমালা অনুযায়ী, প্রার্থীকে এ আদেশ প্রতিপালন করার কারণে কারাদণ্ড এবং জরিমানা করার বিধান রয়েছে। আর নির্বাচন কমিশন চাইলে প্রার্থীর প্রার্থিতাও এই অপরাধের জন্য বাতিলের ক্ষমতা রাখে।

এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম বলেন, ১৮ নভেম্বরের মধ্যে আমরা আগাম সব ধরনের নির্বাচনী প্রচারণা সরিয়ে নিতে নির্দেশনা দিয়েছি। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যদি না সরায় তাহলে সশ্লিষ্ট দায়ী ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আমরা নির্দেশনা দিয়েছি। আমরা এটাও বলেছি- যেগুলো সরানো হবে না আমরা নিজেরা সশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে এটা সারানোর জন্য উদ্যোগ নেবো।

এদিকে রাজধানীর সব এলাকাতেই কমবেশি এসব ব্যানার-ফেস্টুন এখনও রয়ে গেছে। তবে সোমবার সকাল থেকে এসব অপসারণের বিষয়ে কাজ শুরু করেছে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ অতিরিক্ত বর্জ্য ব্যবস্থাপক খন্দকার মিল্লাতুল ইসলাম রাজধানীর পলাশী মোড় থেকে এসব পোস্টার ,ব্যানার, ফেস্টুন অপসারণের কাজ শুরু করেছেন।

এ বিষয়ে খন্দকার মিল্লাতুল ইসলাম বলেন, আজ সকাল থেকে আমরা এসব পোস্টার অপসারণের কাজ শুরু করেছি। দিনব্যাপী আমাদের এ কার্যক্রম চলবে।

এদিকে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এম এ রাজ্জাক বলেন, নির্বাচনী পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন অপসারণের কাজ ইতোমধ্যে আমারা শুরু করেছি। আমারদের এলাকার অংশে এসব অপসারণের কাজ চলছে।

উল্লেখ্য, তফসিল অনুযায়ী আগামী ৩০ ডিসেম্বর সংসদ নির্বাচনে ভোট অনুষ্ঠিত হবে। সে লক্ষ্যে মনোননয়পত্র দাখিলের শেষ সময় ২৮ নভেম্বর, যাচাই-বাছাই ২ ডিসেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৯ ডিসেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ ১০ ডিসেম্বর। এদিন থেকে প্রার্থীরা প্রতীক নিয়ে প্রচার করতে পারবেন।

(ওএস/এসপি/নভেম্বর ১৯, ২০১৮)