কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : কুষ্টিয়ায় কলেজ ছাত্র তুহিন হত্যার দায়ে একই পরিবারের তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালত। 

আজ সোমবার (১৯ নভেম্বর) দুপুর দেড় টার দিকে কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক অরূপ কুমার গোস্বামী জনাকীর্ণ আদালতে এ রায় ঘোষণা করেন।

দন্ডপ্রাপ্ত আসামীরা হলেন- কুমারখালী উপজেলার চরবানিয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মেজবার রহমান (৬০), তার স্ত্রী রঞ্জনা খাতুন (৫০) এবং তাদের ছেলে রইচ উদ্দিন (২৮)। এদের মধ্যে স্বামী-স্ত্রী দুজনেই আদালতে উপস্থিত ছিলেন এবং ছেলে রইচ উদ্দিন পলাতক। এছাড়া এ মামলার অন্যদুই আসামী আবু সাইদ এবং সেলিম রেজাকে বেকশুর খালাস দিয়েছেন আদালত।

আদালতসুত্রে জানা যায়, ২০১২ সালের ১জুন সন্ধায় পারিবারিক জায়গা জমি ভাগাভাগি সংক্রান্ত দ্বন্দের জেরে পক্ষগণের মধ্যে তর্কাতর্কি ও হাতাহাতি শুরু হলে সেখানে উপস্থিত কলেজ ছাত্র কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বোয়ালদাহ গ্রামের সহিদুল মোল্লার ছেলে আব্দুল গনি তুহিন (২৪) তা ঠেকাতে গেলে আসামীরা তুহিনের উপর চড়াও হয় এবং বুকের একাধিক স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে রক্তাক্ত জখম করেন। স্থানীয়রা গুরুতর আহত তুহিনকে উদ্ধার করে হাসপতালে নেয়ার পথে তুহিন নিহত হন। এঘটনায় নিহতের পিতা সহিদুল মোল্লা বাদি হয়ে তিনজনের নামসহ ৫ জনকে আসামী আসামী করে কুষ্টিয়া মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ১, তারিখ ১/০/২০১২, যা কুমারখালী থানার জে আর মামলা নং ১১৪/১২ ধারা ৩০২/৩৪ দ:বি:।

মামলাটি তদন্ত শেষে ২০১৩ সালে ৮ জানুয়ারী আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন পুলিশ। আদালত ২০১৩ সালের ১ অক্টোবর আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে স্বাক্ষ্য শুনানী শুরু করেন।

কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি এ্যাড. অনুপ কুমার নন্দী জানান, পুলিশের দেয়া তদন্ত প্রতিবেদনে বিজ্ঞ আদালত দীর্ঘ স্বাক্ষ্য শুনানী শেষে আলোচিত এই কলেজ ছাত্র হত্যাকান্ডে জড়িত অভিযোগ সন্দেহাতীত ভাবে প্রমানিত হওয়ায় তিন আসামীর যাবজ্জাীবন কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের আদেশ দেন।

(কেকে/এসপি/নভেম্বর ১৯, ২০১৮)