স্টাফ রিপোর্টার : যে ব্যক্তি তার স্ত্রী-সন্তানদের খোঁজ রাখেন না, অধিকার হরণ করেন, নির্যাতন করেন, ওই ব্যক্তি সংসদ সদস্য হয়ে জাতিকে শোষণ-নিপীড়ন ছাড়া কী দেবে?-এমন অভিযোগ আনা হয়েছে জামালপুর-২ (ইসলামপুর) আসনে একাদশ জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচনে জাতীয় পার্টির মনোনয়নপ্রত্যাশী ব্যবসায়ী মোস্তফা আল মাহমুদের বিরুদ্ধে। আর অভিযোগটি করেছেন তার স্ত্রী নুজহাতুন নেছা।

ব্যবসায়ী মোস্তফা আল মাহমুদ ইসলামপুর উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি।

মঙ্গলবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রির্পোটার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) সংবাদ সম্মেলন করে স্বামীর বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ করেছেন মোস্তফা আল মাহমুদের স্ত্রী নুজহাতুন নেছা। এ সময় মনোনয়নপ্রত্যাশী মোস্তফার দুই সন্তান ওমর ফারুক ও মোবাসের মাহমুদ বুসরা উপস্থিত ছিল।

নুজহাতুন নেছা স্বামীর নির্যাতন প্রসঙ্গে বলেন, ‘১৯৯৯ সালে ৬ আগস্ট মোস্তফা আল মাহমুদের সঙ্গে আমার বিয়ে হয়। বিয়ের ৬ বছরের মাথায় দুই সন্তানের পিতা হওয়ার পর হঠাৎ মোস্তফা বিদেশে (চীন) চলে যান। পরে শ্বশুর বাড়ির লোকজন আমাকে বাড়ি থেকে বের করে দেন। আমি জামালপুরে অতিকষ্টে দুই সন্তান নিয়ে বসবাস শুরু করি। পরে খবর পাই চীনে স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করবে। তখন নিজের গহনা বিক্রি করে সন্তানদের নিয়ে আমিও চীনে চলে যায়। সেখানে যাওয়ার পর স্বামী আমাদের ভরণপোষণ না দিয়ে উল্টো মারধর ও শারীরিকবাবে নির্যাতন করতো। একপর্যায়ে মোস্তফা দেশে চলে আসে। তখন বিদেশে খরচ চালাতে না পেরে ৮ বছর পর প্রবাসীদের সহায়তায় আমিও দেশে চলে আসি।’

তিনি বলেন, ‘বর্তমানে রাজধানীর উত্তরায় বসবাস করছি। আমি দুই সন্তানের ভরণপোষণ ও লেখাপড়ার খরচ মেটাতে হিমশিম খাচ্ছি। অন্যদিকে আমার স্বামী আমাদের খরচ না দিয়ে শাহিনা নামের এক মেয়ের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়েছে। এখন শুনছি তিনি জামালপুর-২ আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী, এমপি নির্বাচন করবেন।’

সংবাদ সম্মেলনের একপর্যায়ে মোস্তফার স্ত্রীর বলেন, যিনি নিজের স্ত্রী-সন্তানদের খোঁজ রাখেন না। সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে তিনি কীভাবে এলাকার মানুষের খোঁজ-খবর রাখবেন?’ এ সময় তিনি তার স্বামীর মনোনয়ন বাতিলের দাবি করেন।

স্ত্রীর করা অভিযোগের বিষয়ে জানতে চেয়ে যোগাযোগ করা হলে অভিযোগ সত্য নয় বলে দাবি করেন মোস্তফা আল মাহমুদ। তিনি বলেন, ’আমার স্ত্রী চায় না আমি নির্বাচন করি। এ কারণেই সে এ ধরনের অভিযোগ করেছে।’

ভরণপোষণ প্রসঙ্গে বলেন, ভরণপোষণ দেই না, নির্যাতন করি-এটিও সত্য নয়। তিনি বলেন, ‘আমি প্রতি মাসে ভরণপোষণের খরচ বাবদ নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ ব্যাংকের মাধ্যমে দিয়ে যাচ্ছি।’

(ওএস/এসপি/নভেম্বর ২০, ২০১৮)