আঞ্চলিক প্রতিনিধি, বরিশাল : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জেলার গৌরনদী থানা সংলগ্ন বন্দরের দুইটি ও নলচিড়া ইউনিয়নের পিঙ্গলাকাঠী বাজারের বিএনপি সমর্থকদের চারটি ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় কর্মীরা বন্ধ করে দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

মঙ্গলবার দুপুরে পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর কাউন্সিলর মুক্তিযোদ্ধা শাহেআলম ফকির অভিযোগ করেন, ওইদিন সকালে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা থানা সংলগ্ন তার বাসার নিচের সহদর মিন্টু ফকির ও আনিস ফকিরের ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে বাসার প্রধান গেটে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে। এতে করে সে বাসার মধ্যে অবরুদ্ধ হয়ে পরেছেন।

তিনি আরও জানান, দীর্ঘদিন থেকে অসুস্থ্য হয়ে তিনি নিজ বাসায় অবস্থান করছেন। এছাড়া অতিসম্প্রতি তার সহধর্মীনির মৃত্যুর পর রাজনীতি থেকেও তিনি নিজেকে অনেকটা গুটিয়ে নিয়েছেন। তার পরেও আওয়ামী লীগের অতিউৎসাহী কতিপয় সমর্থকরা তার দুইভাইয়ের ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান বন্ধসহ বাসার প্রধান গেটে তালা ঝুঁলিয়ে দিয়েছে। এতে করে সে নিজ বাসায় অবরুদ্ধ হয়ে পরেছেন।

উপজেলার নলচিড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও মেসার্স শিকদার এন্টারপ্রাইজের মালিক হারুন শিকদার অভিযোগ করেন, দীর্ঘদিন থেকে তিনি পিঙ্গলাকাঠী বাজারে রড ও সিমেন্টের ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। সোমবার সন্ধ্যায় স্থানীয় কতিপয় যুবলীগ কর্মীরা তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছেন।

বাজারের মেসার্স হাওলাদার পোল্ট্রি ও ফিস ফিডের মালিক ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি জহিরুল ইসলাম অভিযোগ করেন, স্থানীয় যুবলীগের কর্মীরা তার দোকানের কর্মচারী তুহিনকে দোকান থেকে বের করে দিয়ে দোকান বন্ধ করে দিয়েছে। একইভাবে যুবদল নেতা সোহেল মোল্লার মেকানিক্যাল দোকান বন্ধ করে দেয়া হয়।

নলচিড়া ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য বাহার হাওলাদার অভিযোগ করেন, তার ছোট ভাই কবির হাওলাদার বোরাদী গরঙ্গল বাজারের চাল ও এলপি গ্যাসের ব্যবসা করে আসছে। স্থানীয় যুবলীগ কর্মীরা তার ভাইকে দোকান থেকে বের করে দিয়ে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ হারিছুর রহমান বলেন, উল্লেখিত ঘটনার সাথে আওয়ামী লীগের কোন নেতাকর্মী জড়িত নেই। তারা নিজেরা নিজেদের দোকান বন্ধ করে নির্বাচনী মাঠে অপপ্রচার শুরু করেছে।

গৌরনদী মডেল থানার ওসি গোলাম সরোয়ার বলেন, দোকান বন্ধ করে দেয়ার ব্যাপারে কোন ব্যবসায়ী থানায় অভিযোগ করেননি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

(টিবি/এসপি/নভেম্বর ২০, ২০১৮)