কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে তিন কন্যা সন্তানের জন্ম দেওয়ায় স্ত্রীকে তালাক ও মাত্র ৯ দিনের কন্যা শিশু ফাতেমাকে বিক্রির ঘটনায় ঐ শিশুকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। শিশুটিকে উদ্ধার করে তার মা জেসমিনের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছে দৌলতপুর থানা পুলিশ।

দৌলতপুর থানা পুলিশের ওসি তদন্ত আজগার আলী জানান, পর পর তিন কন্যা সন্তানকে জন্ম দেওয়ায় স্ত্রীকে তালাক দিয়ে মাত্র ৯দিনের কন্যা শিশুকে নিয়ে যায় উপজেলার খলিসাকুন্ডি ইউনিয়নের পাইকপাড়া এলাকার রবিউল ইসলাম। পরে গণমাধ্যমে বিষয়টি দেখে পুলিশ মঙ্গলবার ঐ এলাকায় যায়। সেখানে গিয়ে শিশুটিকে পাওয়া না যাওয়ায় সন্ধ্যার মধ্যে থানায় হাজির হওয়ার নির্দেশ দেয়। পরবর্তীতের মঙ্গলবার (২০ নভেম্বর) রাতে শিশুটিকে থানায় হাজির করে রবিউল ইসলাম। আমরা শিশুটিকে নিয়ে তার মায়ের কাছে হস্তান্তর করি। শিশুটি বর্তমানে তার মায়ের কাছে রয়েছে।

এর আগে শিশুটির মা জেসমিন জানান, আমার স্বামী জোর করে আমার কোল থেকে গত শুক্রবার (১৬ নভেম্বর) আমার বাচ্চাকে কেড়ে নিয়েছে। শুনেছি তারা শিশুকে ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দিয়েছে। আমি আমার মেয়েকে ফেরত চাই।

তিনি আরো বলেন, যারা আমার কোল থেকে আমার মেয়েকে কেড়ে নিয়েছে তাদের বিচার চাই।
জেসমিনের বাবা রেজাউল হক বলেন, বিয়ের পর আমার মেয়ের ২টা মেয়ে সন্তান জন্ম দেয়। কিছুদিন আগে আবার একটি মেয়ে জন্ম দেয়। এর জন্য আমার মেয়েকে তালাক দেয় রবিউল। আমার মেয়েকে বিনা অপরাধে সে তালাক দিয়েছে। সে বলে ফাতেমা তার সন্তান না। কিন্তু পরে আবার তার সন্তান বলে আমার ৯ দিনের নাতনি ফাতেমাকে কেড়ে নিয়ে গেছে। সে ফাতেমাকে বিক্রি করে দিয়েছে পাশের গ্রামে।

তিনি আরো বলেন, আমি গরীব মানুষ তাতে কোন কষ্ট নেই আমি আমার নাতনি ফেরত চাই প্রয়োজনে আমি ভিক্ষা করে আমার নাতনিকে মানুষ করবো।

শিশুটিকে ফিরে পেয়ে খুশি শিশুটির মা জেসমিন। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হলে শিশুটিকে যিনি কিনে নিয়ে গিয়েছিলো তিনি ঢাকা থেকে ফেরত দিয়ে দিয়েছে বলে জানায় স্থানীয় ও জেসমিনের পরিবার।

(কেকে/এসপি/নভেম্বর ২১, ২০১৮)