বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জে একটি ফিশিং ট্রলারের ধাক্কায় বলেশ্বর নদীতে পড়ে সোহেল রানা তালুকদার (৩৭) নামে নিখোঁজ এক বনরক্ষীর লাশ দুই দিনেও উদ্ধার হয়নি। 

গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টা দিকে নিয়মিত টহলের সময়ে একটি ফিশিং ট্রলারের ধাক্কায় পা পিছলে নদীতে পড়ে ডুবে যাওয়ার পর থেকে ফায়ার সার্ভিস, বন বিভাগ ও কোস্টগার্ড সদস্যরা নিখোঁজ সোহেল রানার খোঁজে তলøাসি চালিয়ে যাচ্ছে। সাঁতার না জানার কারণে সোহেল রানা নদীতে পড়ে ডুবে যায়। কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার মহুরীপাড়া গ্রামের এস.এম আ. হামিদ তালুকদারের ছেলে বনরক্ষী সোহেল রানা তালুকদার ২০০৬ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর বন বিভাগের চাকরিতে যোগ দেন। ২০১৬ সালের ৩ মার্চ বাগেরহাটের সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের বগী স্টেশনে বনরক্ষী হিসেবে যোগদান করেন।

বাগেরহাট ফায়ার সার্ভিসের উপ সহকারী পরিচালক (ডিএডি) মো. মাসুদ সরদার বলেন, বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দিনের মতো বাগেরহাট ও খুলনা থেকে আসা ফায়ার সার্ভিসের দু’টি ডুবুরি দল নিখোঁজ বনরক্ষীর সন্ধানে সুন্দরবনের বলেশ্বর নদীতে উদ্ধার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।

বাগেরহাটের পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. মাহমুদুল হাসান, শরণখোলা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) মো. জয়নাল আবেদীনসহ কোস্টগার্ড ও বন বিভাগের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে রয়েছেন। এ ঘটনায় বগী স্টেশন কর্মকর্তা (এসও) মো. মিজানুর রহমান মোল্লা শরণখোলা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছেন।

সুন্দরবনের বগী স্টেশন কর্মকর্তা জানান, মঙ্গলবার রাতে সোহল রানাসহ চার বনরক্ষী বগী স্টেশন থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দুরে বলেশ্বর নদীতে নিয়মিত টহল দিচ্ছিলেন। রাত আনুমানিক সাড়ে ১১টার দিকে বঙ্গোপসাগর থেকে উঠে আসা একটি ফিশিং ট্রলারকে থামানোর নির্দেশ দেয়া হয়। ট্রলারটি পালিয়ে যাবার সময় বনরক্ষীদের ছোট টহল বোটকে ধাক্কা দিলে সোহেল রানা পা ফসকে নদীতে পড়ে তলিয়ে যায়।

শরণখোলা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) জয়নাল আবেদীন জানান, ফায়ার সার্ভিসের দু’টি ডুবুরি দল, কোস্টগার্ড ও বনকর্মীরা সুন্দরবনের বলেশ্বর নদীতে তল্লাশী অব্যাহত রেখেছে। লাশ না হওয়া পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চলছে।

(এসকেপি/এসপি/নভেম্বর ২২, ২০১৮)