জয়পুরহাট প্রতিনিধি : জেলায় খরিপ-১ (২০১৩-১৪) মৌসুমে পটলসহ বিভিন্ন সবজির বাম্পার ফলন হয়েছে। বাজারে এসব সবজির দাম বেশি হওয়ায় কৃষকরা খুশি।

স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, খরিপ-১ মৌসুমে জেলায় ৫শ’ হেক্টর জমির লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ৭শ’ ৫০ হেক্টর জমিতে এবার পটলের চাষ হয়েছে। এতে পটল উৎপাদন হয়েছে ২৩ হাজার ২শ’ ৫০ মে.টন।

সূত্রটি আরও জানায়, জেলায় চাষ হওয়া অন্যান্য সবজির মধ্যে রয়েছে বেগুন ৭৭৫ হেক্টর, করলা ৪৭৫, বরবটি ৮৫, ঝিংগা ৯০, কাকরোল ৩৫, চিচিংগা ৪৫, চাল কুমড়া ১৭৫, মিষ্টি কুমড়া ৩৭০, ডাটা ২৪০, পুঁইশাক ২১৫, লাল শাক ২৭০, কলমী শাক ৭৫, মূখী কচু ২৯০, শষা ২৬৫, ঢেঁরস ১৬০, পেঁপে ৪৫ এবং লতিরাজ কচু ১ হাজার ৩শ’ ৭৫ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে।

এসব জমিতে সবজি উৎপাদন হয়েছে ১ লাখ ৩১ হাজার ৫৪০ মে. টন। যা জেলার সবজি চাহিদা মিটিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা সম্ভব হয়েছে। জেলায় এবার ভারি বর্ষণ ও অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত না থাকায় শাক-সবজির ফলন ভাল হয়েছে বলে জানান কৃষক ও কৃষি কর্মকর্তারা।

জেলার পাঁচবিবি উপজেলার খাসবাট্টা গ্রামের কৃষক সাগর আলী এবার দেড় বিঘা জমিতে পটল চাষ করেছেন। বাজার মূল্য ভাল পাওয়ায় তিনি খুশি বলে জানান। একই গ্রামের কৃষক লাল মিয়া বলেন, ১ বিঘা জমিতে বেগুন চাষ করে ভাল ফলন পেয়েছি এবং বাজার মূল্য বেশি পাওয়ায় খুশি বলে জানান।

জেলার শহরের হাট-বাজারগুলো ঘুরে দেখা যায়, পটল বিক্রি হচ্ছে ২৪ থেকে ২৮ টাকা কেজি, বেগুন ৩৬ থেকে ৪০ টাকা কেজি, করলা ৭০ থেকে ৮০ টাকা, বরবটি ৩২ টাকা, কাকরোল ২৮ টাকা, মূখীকচু ৪০ টাকা, শষা ৩৬ টাকা, লতিরাজ কচু ২৪ থেকে ৩০ টাকা, ঢেঁরস ৩২ থেকে ৩৬ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ২০ টাকা কেজি এবং চাল কুমড়া প্রকার ভেদে ১৫ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত পিস বিক্রি করতে দেখা গেছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক এ জেড এম সাব্বির ইবনে জাহান বাসস’কে বলেন, জয়পুরহাটের সবজির মান খুব ভাল। সে কারণে জয়পুরহাটের সবজির বাহিরে চাহিদা বেশি। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে পাইকাররা এসে এখান থেকে সবজি নিয়ে যায়।

(ওএস/এস/জুলাই ১৯, ২০১৪)