মানিক বৈরাগী


ড.কামাল হোসেন বিখ্যাত এই আইনবিদ আওয়ামীলীগ এ ব্যক্তিস্বার্থ হাসিল করতে না পেরে আওয়ামীলীগ এর সাথে গোসসা করে আওয়ামীলীগ থেকে বেরিয়াযান।

এরপর তিনি বিভিন্ন দলছুট ও অপারাধীদের নিয়ে গণ ফোরাম নামক একটি রাজনৈতিক দল গঠন করেন। এ রাজনৈতিক দল টি বেশ কিছু দিন চিল্লা চিল্লি সুশীল বয়ান ও ওয়াজ নসিহত করেন। তিনি আস্থে ধীরে প্রমিত উচ্চারণে গুছিয়ে কথা বলেন।আমারও শুনতে খুব ভালো লাগে। যখন গণ ফোরাম গঠিত হয় তখোন আমি ছাত্রলীগ এর মাঠ পর্যায়ের কর্মী। আমাদের সেই সময়ের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র,বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কেন্দ্রিয় কার্যকরী সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদ কে মনিরুজ্জামান বাদল।হয়তে পরের সম্মেলনে তিনি সভাপতি সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হতেন।
তখোন ঢাকা মহানগর আওয়ামীলীগ এর নেতা ছিলেন মোস্তফা মহসিন মন্টু।

মোস্তাফা মহসিন মন্টু একজন কোন্দলবাজ নেতা। তখন বিএনপি নব্বইয়ের জোয়ারে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বাংলাদেশের সরকার পরিচালনায় ক্ষমতায় আসে।সাথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ পরিষদ অকার্যকর করে আবারো সন্ত্রাসের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও চারণভূমিতে পরিণত হয়। এর পুর্বে ছাত্রলীগ এর কেন্দ্রিয় সম্মেলন কে ঘিরে মন্টু সমর্থিত কিছু ছাত্র নেতা ছাত্রলীগ এর কমিটি কে, শেখ হাসিনা কে অমান্য করে বেরিয়েযান।সন্ত্রাসের পথ বেচেনেয়।এর মধ্যে কয়েকজন ডাকসু হল সংসদেরও নেতা ছিলেন। সেই দল ছুট নেতারা আশ্রয় নিলো গণ ফোরামের ছাত্র সংঘটনে।সেই ছাত্র সংঘটন এর নাম টি যেনো কি?মনে পড়ছে না। ছাত্র ফোরাম বা ছাত্রধারা এমন হবে। সেই সময়ে সন্ত্রাসের অভয়ারণ্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে খুন হলো মিনিরুজ্জামান বাদল।বাদল ভাইয়ের হত্যা কান্ডের সাথে মাস্টার মাইন্ড হিসাবে

পত্র পত্রিকায় লেখা হলো আওয়ামীলীগ নেতা মুস্তফা মন্টুর নাম। দেশরত্ন শেখ হাসিনা এই অপরাধের কারণে মন্টু কে আওয়ামীলীগ থেকে স্থায়িভাবে বহিষ্কার করেন। সেই বাদল হত্যা মামলার সাথে জড়িত মন্টু কে ড.কামাল তাঁর গণ ফোরামে আশ্রয় দিলেন। এভাবে ড.কামাল সারাদেশে বিভিন্ন অপকর্মের হোতাদের তিনি তাঁর দলে আশ্রয় দিয়ে তার সাথে সেই সময়ে যে সব ক্লীন ইমেজের সুশীল ও বামেরা আর তাঁর সাথে থাকলো না। এখন আশ্রয় দিলেন অধ্যাপক আবু সাইদ কে।আবু সাইদ বিখ্যাত মুক্তিযুদ্ধ ও ৭৫এর আগস্টের উপর বই লিখে।

১৯৮১সনে দেশরত্ন শেখ হাসিনা স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর আওয়ামীলীগ এর সাধারণ সম্পাদক নেতৃত্ব নিয়ে রাজ্জাক ভাইয়েরা আওয়ামীলীগ থেকে বেরিয়ে এসে বাকশাল গঠন করেছিলেন, তাঁদের সহ যাত্রীদের অন্যতম নেতা ছিলেন অধ্যাপক আবু সাইদ।তিনি পরে আবার বাকশাল ছেড়ে আওয়ামীলীগ এ যোগদিলেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা মতিউর রহমান নীজামীকে নির্বাচনে পরাজিত করার কারণে তাঁকে তথ্যমন্ত্রী বানালেন।এরও আগে দেশরত্ন শেখ হাসিনা আবু সাইদ কে লেখালেখির জন্য বাংলাদেশে যখন অবাধ কম্পিউটার ছিলনা, সেই সময়ে কম্পিউটার উপহার দিয়েছিলেন।

তিনি তথ্যমন্ত্রী হওয়ার পর এমন চেতনাজীবী ও ব্যবসায়ী হলেন,বিটিভি ও বেতারে আজানের সময় বঙ্গবন্ধুর ভাষণ প্রচার শুরু করলেন।এতে শেখ হাসিনা খুব ক্ষিপ্ত হলেন এবং ডেকে তা বন্ধ করালেন। ফলে কি হলো বিএনপি জামাত যুদ্ধাপরাধীরা আওয়ামীলীগ এর নামে যে মিথ্যা বদনাম করতো তার সত্যতার একটি স্থায়ী রুপ দিলো। এরপর তিনি আওয়ামীলীগ প্রার্থী হিসাবে নিজামীর কাছে ধরা খেলেন।এর পর ওয়ান ইলাভেনের সময় ড.কামাল ও অন্যান নেতাদের সাথে আর্মী ব্যাকড ফখরুদ্দিন মইনুদ্দিনের সময় ব্যাপক সুশীল হয়ে মাইনাস টু ফর্মুলার পক্ষে গিয়ে দেশরত্নের সমালোচনা,জেল খাটানো সব মিলিয়ে তিনি আর আওয়ামীলীগ এর মনোনয়ন পেলেন না। টুকু কে মনোনয়ন দিলেন, তিনি বিজয়ী হলেন,সাইদ স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে গো হারা হারলেন।

বর্তমানে সেই সাইদ কে আশ্রয় দিলেন কে ড.কামাল হোসেন। তো এতে প্রমাণিত হলো ড.কামাল হোসেন সন্ত্রাস,খুনের গড়ফাদার,ও মোনাফেকের আশ্রয়স্থল। অ সাইদের পুর্বে সুলতান মনসুর ও যোগ দিয়েছেন।সুলতান ভাই কে নিয়ে ইতি পুর্বে একটি লেখা লিখেছি তাই ওনার পর্বটি এখানে আর টানিয়ে পাঠক পাঠিকার বিরক্তি ঘটাতে চাই না। তো ড.কামালের সাথে ঐক্য ফ্রন্ট কারা করলো তাও আর এক কলামে লিখেছি।তাই এটিও আর এখানে আনতে চাইনা।
এই সব ক্ষতিকর, খুনি, লোভি, সুবিধাবাদী দের নিয়ে কোথায় গেলেন বিএনপি জামাতের কাছে।

এ প্রসঙ্গে দার্শনিক লেখক আহমদ ছফার একটি কথা মনে পড়েগেলো,তিনি একজায়গায় বলেছেন"বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবী দের কথা শুনলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না' তো ড.কামাল গং এর কথা শুনে মানুষ ভোট দিবে না।বরং কানটাই কাটা যাবে। কারণ এরা শিয়াল। তো কাদের সিদ্দিকী যতদিন আওয়ামীলীগ এর সাথে ছিলো ততোদিন বাঘ না হলেও বাঘডাশ ছিলো।তিনিও এখন শিয়াল।তাঁকে নিয়েও একটি লেখা ইতিপুর্বেই লিখে পাঠিকার মধুর সময় কে যন্ত্রনায় পরিণত করতে চাই না। ড.কামাল এই শিয়াল জোট কে নিয়ে গেলেন কোথায়? নরক খানায়। যারা এই দেশে ৭৫র ঘটিয়েছে,তাদের আশ্রয় লালন কর্তাদের কাছে।যারা একাত্তর কে মেনে না নিয়ে যুদ্ধাপরা ঘটিয়েছে।

যারা এদেশে ইনডেমনিটি দিয়ে পিতা মুজিবের হত্যার বিছার বন্ধ করেছিল।যারা এদেশে কে দুর্নীতি র স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেছিল।যারা এদেশ কে জঙ্গীস্তানে পরিণত করেছিলো। যারা এদেশের সুর্য সন্তান শাহ এ এম এস কিবরিয়া,আহসানুল্লাহ মাস্টার, সহ শত শত খুন, ধর্ষণ করেছে তাদের কাছে। যারা এদেশে ১৭আগস্ট ও২১শে আগস্ট ঘটিয়েছেন তাদের কাছে। সাবেক মন্ত্রী কিবিরিয়ার কুপুত্র রেজাও কিবরিয়াও যোগ দিয়েছেন।আলেমের ঘরে জালেম যাকে বলে।

রাজশাহীর বিএনপি নেতা পটল ছাত্রলীগ নেতা,তাঁর পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা কে যারা হত্যা করেছিল, তাদের হাতধরেই কিন্তু পটল জিয়ার হাতে বায়েত হয়েছিলেন।শুধু কিবরিয়া কেন আরো অধিক উদাহারন দেয়া যাবে, কিন্তু দিচ্ছি না পাঠেকের কথা ভেবে। তো এসব কুখ্যাত বিজ্ঞ লোক নিয়ে গণ ফোরামের কিন্তু ধানের শিষ নিয়ে ভোট করতে হয়।অথছ গণ ফোরাম এর নিজস্ব প্রতিক আছে।

প্রশ্ন নিজের প্রতিকের প্রতি যাদি আস্থা নাই তাদের প্রতি মানুষের আস্থা কি ভাবে থাকবে।এরা আর মানুষ কে কোন আক্কেলে সাধু বচন পাড়েন। তাদের ভোট করতে ধানের শিষ নিয়ে।ধানের শিষ মার্কাটিও কিন্তু হাইজাক বা ধার, অনুদান করা।এটি ছিলো মাওলানা ভাসানির। এত ধার উদার বিলিন বিলিয়ে দেয়া প্রতিকের রাজনীতিকেরা কিন্তু রাজনৈতিক আদর্শিক দেওলিয়া।এরা মানসিক ভাবেও দেওলিয়া। এদের কথায় বিষ মাখা কথায় বিশ্বাস করে মরোনা।
ড.কামাল প্রথমেই বলেছিল জামাতের সাথে কোন সম্পর্ক নাই।কারন জামাত এখন নিষিদ্ধ পার্টি।তাই জামাত নেতা রক্ষার দায়িত্ব আমার আইনি ব্যাখার কাছে আছেরে ভাই।তাই তিনি নিজেই মার্কা ডুবিয়ে জামাতের পাল্লা খালি করে, ধানের শিষে বিষ মাখছেন।জামাত গণ ফোরাম রব সবাই ধাণেএ শিষের বিষ।

এদের থেকে জাতি সাবধান জরুরি।পরম প্রিয় ভোটার ও জনতা এসব দেওলিয়া রাজনীতিক থেকে সাবধান থাকুন।নিজ ও শেখ হাসিনার প্রতি আস্থা রাখুন।আজকের এই লেখা টি একটি প্রবাদ দিয়ে যবনিকা টানতে চাই
"দুর্জন বিদ্যান হলেও পরিত্যাজ্য"।

লেখক : কবি ও ছাত্র নেতা