উত্তম গোলদার, মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) : পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার মকুমা গ্রামের একাধিক খালের ওপর চারটি আয়রন ব্রীজগুলো ঝুকিঁপূর্ণ ও স্লিপারগুলো ভেঙ্গে পড়ায় চলাচলে দুভোর্গে পড়েছে পাঁচ সহাস্রাধিক মানুষ।

ব্রীজ দিয়ে ওঠা-নামার জন্য দু’পাশের এপ্রোচের মাটি না থাকায় ভোগান্তিতে পড়ছে কোমলমতি শিক্ষার্থী, রোগী, শিশু ও বৃদ্ধারা। এলাকাবাসী ব্রীজগুলোতে চলাচলের জন্য দু’পাশে এবং ব্রীজের মধ্যেখানে গাছ দিয়ে চলাচল করছে। এমনকি দু’টি ব্রীজের মাটি থেকে প্রায় দুই ফুট উচুঁতে রয়েছে ব্রীজ।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার কাকড়াবুনিয়া ইউনিয়নের মহাসড়ক থেকে পশ্চিম কাকড়াবুনিয়া হয়ে বৈদ্যপাশা সংযোগ সড়কের মকুমা নুরানী কওমিয়া হাফিজা মাদ্রসা সংলগ্ন দুন্দইল খালের ওপর ব্রীজটি ও পশ্চিম কাকড়াবুনিয়া কুয়েতী মসজিদ সংলগ্ন সোতা খালে ওপর ব্রীজটি দশ বছর পর্যন্ত ভেঙ্গে পড়ে আছে এবং মকুমা খালের ওপর ও সোনাপুরা গ্রামের আয়রন ব্রীজটি কয়েক বছর পূর্বে ভেঙ্গে গেলে বিদ্যালয়ের শিক্ষকগন এবং স্থানীয়রা গাছ দিয়ে মেরামত করে চলাচলের জন্য ব্যবস্থা করেন।

কাককড়াবুনিয়া ইউনিয়নের মধ্যে কাকড়াবুনিয়া বাজার থেকে মকুমা-বৈদ্যপাশা-চাঁদনীর বাজার-গাজীপুরার মধ্যে যোগাযোগের সহজ মাধ্যম হচ্ছে এ ব্রীজগুলো। এ নড়বড়ে ব্রীজটি দিয়ে প্রতিদিন স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রী, কৃষক, ব্যবসায়ী, চাকরিজীবী, হাট-বাজারের লোকজন পারপার হচ্ছে। পার হতে গিয়ে প্রায়ই ঘটে দুর্ঘটনা।

স্থানীয় মোশারফ হোসেন বলেন, বর্ষার সময়ে ব্রীজ দিয়ে চলাচল করতে হিমসিম খেতে হয়। নড়বড়ে ব্রীজ দিয়ে পারাপার হতে গিয়ে প্রায়ই দুর্ঘটনায় শিকার হচ্ছে বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরাসহ বৃদ্ধরা। উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে উন্নয়নে পিছিয়ে আছে মকুমা গ্রামটি। এ ছোট খালের ওপর ব্রীজগুলো নির্মান করা হলে বিদ্যলয়ের শিক্ষার্থীসহ পথচারীদের চলাচলে সুবিধা হবে।

মকুমা গ্রামের ইউপি সদস্য মোঃ হিরোন মোল্লা বলেন, মির্জাগঞ্জ উপজেলার কাকড়াবুনিয়া ইউনিয়নের মকুমা খাল ও দুন্দাইল খালের ওপর আয়রন ব্রীজটি কয়েক বছর পূর্বে ভেঙ্গে গেলে স্থানীয়রা গাছ দিয়ে চলাচলের জন্য ব্যবস্থা করা হয়। এলাকার নড়বড়ে ব্রীজগুলো দিয়ে প্রতিদিন পাঁচ সহাস্রাধিক মানুষ পার হয়ে বিভিন্ন এলাকায় যাতায়াত করে থাকে। ব্রীজগুলো নির্মান কিংবা মেরামত করা হলে এলাকার সকল ক্ষেত্রে উন্নয়ন হবে।

(ইউজি/এসপি/নভেম্বর ২৯, ২০১৮)