শাহ্ আলম শাহী, দিনাজপুর : বিলুপ্তপ্রায় দিনাজপুরের কাঠারী ভোগ ধানের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে উচ্চ ফলনশীল সুগন্ধি ধানের চাষ বাড়ছে। উফশী জাতের এসব ধানের ভালো ফলন পেয়ে  ঘুরছে অনেক কৃষকের ভাগ্যের চাকা। দিনাজপুরের মাটি ও আবহাওয়া সুগন্ধি ধান চাষে উপযোগি হওয়ায় প্রিমিয়াম কোয়ালিটি রাইস রিসার্স সেন্টারের আঞ্চলিক কার্যালয় স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনষ্টিটিউট। 

দিনাজপুরে উচ্চ ফলনশীল সুগন্ধি ব্রি-ধান ৬৩, ব্রি-ধান ৭০,ব্রি-ধান ৭৫ এবং ব্রি-ধান ৮০ চাষাবাদ শুরু করেছে কৃষক। বিলুপ্তপ্রায় কাটারী ভোগ ধানের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে কৃষক উফশী জাতের এসব সুগন্ধি ধান চাষ করছে। পাচ্ছে,আশাতীত ফলন। এমনটাই জানালেন,চিরিরবন্দর উপজেলার উচিৎপুর গ্রামের কৃষক ফেরদৌস। তিনি জানান, তার ফলন দেখে অন্যান্য কৃষকও সুগন্ধি ধান চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন ।

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনষ্টিটিউটের রংপুর অঞ্চল দিনাজপুরে কৃষকের মাঠ পর্যায়ে শুরু করেছে এসব সুগন্ধি ধানের চাষ। এই ইনষ্টিটিউটের অফিস প্রধান এবং প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড.আবু বকর সিদ্দিক সরকার জানালেন,এসব ধানে পোকা-মাকড়ের আক্রমণ ও রোগ-বালাইও কম। বিলুপ্তপ্রায় ঐতিহ্যবাহী কাটারী ভোগ ধানের চেয়ে এসব জাতের সুগন্ধি ধান চাষে দ্বি-গুন ফলন।

উচ্চ ফলনশীল এসব সুগন্ধি ধান দিনাজপুরের ঐতিহ্যবাহী কাটারী ভোগ ধানের বিকল্প কলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনষ্টিটিউট-ব্রি’র মহা পরিচালক ড.মো. শাহজাহান কবির জানালেন, এ জেলার মাটি ও আবহাওয়া সুগন্ধি ধান চাষে উপযোগি হওয়ায় দিনাজপুরে প্রিমিয়াম কোয়ালিটি রাইস রিসার্স সেন্টারের আঞ্চলিক কার্যালয় স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনষ্টিটিউট।

ধানের জেলা দিনাজপুরে কাটানী ভোগের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে এ অঞ্চলে উচ্চ ফলনশীল জাতের সুগন্ধি ধানের চাষাবাদ বাড়ছে। এ ধান চাষাবাদ করে ঘুরছে কৃষকের ভাগ্যের চাকা। সংশ্লিষ্ট বিভাগের সহযোগিতা অব্যাহত থাকলে এবং এ ধানের ভালো দাম পেলে এ অঞ্চলে সুগন্ধি ধানের চাষাবাদ বেড়ে যাবে এমনটাই মন্তব্য করছেন, কৃষিবিদরা।

(এসএএস/এসপি/ডিসেম্বর ০১, ২০১৮)