স্টাফ রিপোর্টার : নিজের ভোলা-১ আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন- ইভিএমে ভোট নেয়ার নির্দেশনা চেয়ে বিজেপির চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থের করা রিট খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট।

সোমবার বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর বেঞ্চ এই আদেশ দিয়েছে। আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আহসানুল করিম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আল আমিন সরকার।

এবার ছয়টি সংসদীয় আসনে ইভিএমে ভোট নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আসনগুলো হলো ঢাকা-৬ ও ১৩, চট্টগ্রাম-৯, রংপুর-৩, খুলনা-২ এবং সাতক্ষীরা-২।
এই সিদ্ধান্ত স্থগিত চেয়ে আবার আদালতে রিট আবেদন হয়েছে। তবে এর আজ মঙ্গলবার শুনানি হবে।

বিএনপি এবং তার দুই জোট ২০ দল এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ইভিএমে ভোট নেয়ার ঘোর বিরোধী। তারা একে কারচুপির হাতিয়ার মনে করে। তবে গত বৃহস্পতিবার পার্থ নির্বাচন কমিশনে তার আসনে ইভিএমে ভোট নেয়ার অনুরোধ করে চিঠি দেন। এ জন্য খরচ বহন করতেও তিনি রাজি ছিলেন।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদাকে দেয়া চিঠিতে পার্থ দাবি করেন, তার আসনে ইভিএম দেয়া না হলে এটি বৈষম্যমূলক আচরণ হবে। আর রবিবারের মধ্যে তার চিঠির জবাব দিতে বলেন। নইলে আদালতে যাওয়ার কথা বলেন।

ইভিএমে ভোট স্থগিতের দাবি

নানা ঘটনায় রিট করে আলোচনায় আসা আইনজীবী ইউনুস আলী আকন্দ এবার রিট করেছেন ইভিএমে ভোট নেয়ার বিরুদ্ধে। এই আইনজীবী জানান, বিচারপতি সৈয়দ রিফাত আহমেদ ও বিচারপতি ইকবাল কবিরের বেঞ্চে এই আবেদনের ওপর শুনানি হবে।

জনাব আকন্দ আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনে জাতীয় পার্টির (এরশাদ) মনোনীত প্রার্থী। রিট করার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, এটা সংবিধানের ৬৫ ও ৯৩ অনুচ্ছেদের পরিপন্থী।’

গত ৩১ অক্টোবর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের বিধান রেখে সংশোধিত গণপ্রতিনিধিত্ব (আরপিও) অধ্যাদেশ জারি করা হয়। রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের পর সে অধ্যাদেশের গেজেট প্রকাশ করে আইন মন্ত্রণালয়। আইন করার পর গত ২৬ নভেম্বর নির্বাচন কমিশন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএমে ভোটগ্রহণের জন্য ছয়টি আসন চূড়ান্ত করে।


(ওএস/অ/ডিসেম্বর ০৩, ২০১৮)