স্টাফ রিপোর্টার : এবার রাজধানীতে বিস্ফোরিত হয়েছে শাওমি ব্র্যান্ডের স্মার্টফোন। চলতি সপ্তাহে বাংলাদেশে শাওমি’র ফোন বিস্ফোরণের দ্বিতীয় ঘটনা এটি।

এর আগে গত শনিবার (০১ ডিসেম্বর) ফেনীতে এক কলেজ ছাত্রের ব্যবহৃত শাওমি ব্র্যান্ডের ফোনটি বিস্ফোরিত হয়। এতে পরের দিন রোববার (০২ ডিসেম্বর) ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় শাওমি’র ফোন ব্যবহারকারী স্বপ্নীল মজুমদার (১৭) নামের ঐ কলেজ ছাত্রের।

ওই ঘটনার চারদিনের মাথায় মঙ্গলবার (০৪ ডিসেম্বর) সকালে ইব্রাহিম খলিল নামের এক ব্যবহারকারী শাওমি ব্র্যান্ডের হ্যান্ডসেট বিস্ফোরণ হওয়ার অভিযোগ করেন। জাহাঙ্গীর আলম সোহাগ নামের এক ফেসবুক আইডি থেকে বিষয়টি নিয়ে একটি পোস্ট দেওয়া হলে সামাজিক মাধ্যমটিতে তা দ্রুত ভাইরাল হয়।

ফেসবুকের ঐ পোস্টটিতে লেখা হয়, ‘সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি শাওমি ফোন সেট হতে সাবধান। আমাদের সকলের খুব পরিচিত মুখ খলিল ভাই এর মোবাইল ফোনটি আজ সকালে পুড়ে যায় যা আপনারা ছবিতে দেখতে পারছেন। মোবাইল ফোনটি দুই মাস আগে কেনা হয়’।

মাত্র চারদিনের ব্যবধানে দু’টি হ্যান্ডসেট বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি দেওয়া হয়নি শাওমি বা বাংলাদেশে শাওমি’র পরিবেশক এসইবিএল এর পক্ষ থেকে। হ্যান্ডসেট বিস্ফোরণ সম্পর্কে জানতে যোগাযোগ করা হলে ফোন রিসিভ করেননি বাংলাদেশে শাওমি’র জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহাবুবুর রহমান।

এদিকে শাওমি’র প্রতি ক্ষোভ ব্যক্ত করতে দেখা গেছে ব্র্যান্ডটির ব্যবহারকারীদের। শাওমি সম্পর্কিত ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপে নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন কোম্পানিটির হ্যান্ডসেট ব্যবহারকারীরা। প্রসেনজিত দত্ত নামের এক আইডি থেকে মন্তব্য করা হয়, ‘এমআই (শাওমি) পোড়ার ঘটনা নতুন নয়। এটা রেগুলারলি (নিয়মিত) হয়। কোনটা নিউজ আসে কোনটা আসে না’।

সুমন নামের আরেক ব্যবহারকারী মন্তব্য করেন, এসব খবরে আমরা সাধারণ মানুষেরা বিভ্রান্ত হই যে শাওমি ফোন কিনবো কী কিনবো না। আর যাদের শাওমি ফোন আছে তারা বিভ্রান্ত হই যে এই ব্র্যান্ডের ফোন আর ব্যবহার করবো কী করবো না।

(ওএস/অ/ডিসেম্বর ০৪, ২০১৮)