স্টাফ রিপোর্টার : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া হলের নামফলক তুলে ফেলার ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে চবি জাতীয়তাবাদী আদর্শে বিশ্বাসী শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল ও জিয়া পরিষদ।

বুধবার সংগঠন দুটির পক্ষে গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে এ প্রতিবাদ জানানো হয়। সাদা দলের মুখপাত্র ড. মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশের তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নামে স্থাপিত ছাত্রী হলের নামফলক খুলে ফেলা একটি সম্পূর্ণ পরিকল্পিত এবং সন্ত্রাসী ঘটনা। যা বাংলাদেশের রাজনীতির প্রতিহিংসা পরায়ণতারই সুস্পষ্ট প্রতিফলন। হলটির নামকরণ বিশ্ববিদ্যালয় সর্বোচ্চ পর্ষদ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে হয়ে থাকে এবং এটির পরিবর্তন, পরিমার্জন অবশ্যই প্রশাসনিক সিদ্ধান্তের বিষয়।

নামফলক তুলে ফেলার সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থির করার অপপ্রয়াসও জড়িত আছে বলে মনে করছেন সাদা দলের শিক্ষকরা। এ সময় অবিলম্বে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং নামফলক পুনঃস্থাপনেরও দাবি জানানো হয়।

বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারী শিক্ষকদের মধ্যে রয়েছেন- প্রফেসর ড. এম. আতিকুর রহমান, প্রফেসর ড. মো. মোজাফফর আহমদ, প্রফেসর ড. মো. কামাল হোসাইন, প্রফেসর ড. মোকতার আহমদ, প্রফেসর ড. মো. আবদুল করিম, প্রফেসর ড. শওকতুল মেহের, প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান, প্রফেসর ড. মো. আশরাফুল ইসলাম, প্রফেসর ড. ইমাম হোসেন, প্রফেসর ড. আকতার হোসেন, প্রফেসর ড. মো. সাইফুল ইসলাম, প্রফেসর ড. মো. কামাল উদ্দিন, প্রফেসর ড. মো. আতিয়ার রহমান ও প্রফেসর ড. তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ প্রমুখ।

এদিকে, চবি জিয়া পরিষদের সভাপতি প্রফেসর ড. সিদ্দিক আহমেদ চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. মো. আবদুল মান্নান স্বাক্ষরিত অপর বিবৃতিতে বলা হয়, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সন্নিকটে। নির্বাচনের আগ মুহূর্তে দেশের জনগণ যখন সকল রাজনৈতিক দল, সংগঠন ও নেতাকর্মীদের কাজ থেকে সহনশীলতা ও শ্রদ্ধাবোধ আশা করছে, ঠিক তখন একটি ছাত্র সংগঠনের উদ্ধতপূর্ণ আচরণ দেশবাসীকে হতবাক করেছে। তাদের এমন কর্মকাণ্ড সরকার ও নির্বাচন কমিশন কঠোর হস্তে দমন করবে বলে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

একই ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে বিবৃতি দেয় শাখা ছাত্রদল। খালেদা জিয়ার নামফলক তুলে ফেলার ঘটনার কঠোর জবাব দেয়া হবে বলেও বিবৃতিতে হুঁশিয়ারি দেয়া হয়।

(ওএস/অ/ডিসেম্বর ০৫, ২০১৮)