স্টাফ রিপোর্টার : যাচাই বাছাইয়ে দলের সব প্রার্থী বাদ পড়ে গেলেও আপিলে বগুড়া-৭ আসনে প্রার্থী পেয়েছে বিএনপি। রিটার্নিং কর্মকর্তা বাতিল করে দিলেও মোরশেদ মিল্টনকে বৈধ প্রার্থী ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। এই আসনটি থেকে নির্বাচন করতেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।

বুধবার কমিশনের ট্রাইব্যুনালে আপিল শুনানিতে এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়। প্রধান নির্বাচন কমিশনার-সিইসি কে এম নুরুল হুদা ও অন্য নির্বাচন কমিশনাররা শুনানিতে বক্তব্য শুনছেন।

গত রবিবার মোরশেদ মিল্টনসহ এই আসনে দলের পক্ষ থেকে মনোনয়নপত্র জমা দেয়া তিন জনের প্রার্থিতা বাতিল করে দেন বগুড়ার রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক ফয়েজ আহম্মেদ।

এর মধ্যে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার প্রার্থিতা বাতিল হয় দুর্নীতির মামলায় তার ১৭ বছরের কারাদণ্ড হওয়ায়। সরকার বাদলের প্রার্থিতা বাতিল হয় তিনি শাজাহানপুর উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ না ছেড়ে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ায়। মিল্টন ছিলেন গাবতলী উপজেলার চেয়ারম্যান। তিনি পদ ছেড়ে মনোনয়নপত্র জমা দিলেও যাচাইবাছাইয়ের সময় পদত্যাগপত্র গৃহীত হওয়ার নথি জমা দিতে পারেননি। ফলে এই আসনে বিএনপির কোনো বৈধ প্রার্থী ছিল না সেদিন।

তবে মিল্টন আপিলে দেখিয়েছেন, তিনি পদত্যাগ করেছেন এবং সেটা গৃহীতও হয়েছে। পরে তার প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করা হয়।

বেগম খালেদা জিয়া এবং সরকার বাদলও প্রার্থিতা ফিরে পেতে আপিল করেছন। তবে বাদলের আবেদন নাকচ হয়ে গেছে। খালেদা জিয়ার বিষয়ে শুনানি হবে শনিবার।

এই আসন ছাড়াও বগুড়া-৬ এবং ফেনী-১ আসনেও খালেদা জিয়ার প্রার্থিতা অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। এই দুটিতে বিএনপির বিকল্প প্রার্থীর মনোনয়ন অবশ্য বৈধ হয়েছে।

(ওএস/অ/ডিসেম্বর ০৬, ২০১৮)