ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি : পাবনা-৪ আসনে চুড়ান্ত প্রার্থী ঘোষণার পর বিএনপির নেতা-কর্মীরা নিস্প্রভ হয়ে গেছে। গত ৭ই ডিসেম্বর কেন্দ্র হতে চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিবকে ২০ দলীয় প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দেয়া হয়েছে।

এর আগে এই আসনে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য সিরাজুল ইসলাম সরদারকে মনোনয়নের চিঠি প্রদান করলে তিনিও নির্বাচন কমিশনে মনোনয়ন দাখিল করেন। আবার জামায়াতের জেলা আমীর আবু তালেব মন্ডলও স্বতন্ত্র প্রার্থি হয়ে মনোনয়ন জমা দেন।

এই অবস্থায় গত ৩রা ডিসেম্বর সোমবার সিরাজ সরদার উপজেলা ও পৌর বিএনপি’র বর্ধিত সভায় হাবিবের বিপক্ষে বিষেদাগার করে বলেন, ধানের শীষের পরাজয় নিশ্চিত করতে হাবিব বিরোধী পক্ষের হয়ে কাজ করছেন। পূর্বের মতো এবারের নির্বাচনেও সিরাজ-হাবিবের দ্বন্দ্ব আবারো চাঙ্গা হয়েছে। ওই বর্ধিত সভায় বৃহস্পতিবার রাতে আওয়ামী লীগ কর্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভা শেষে সাধারণ সম্পাদক মকলেছুর রহমান মিন্টু এই বর্ধিত সভায় উপস্থিত নেতা-কর্মীরা সিরাজুল ইসলাম সরদারকে মনোনয়ন দেয়ার দাবী জানান। কিন্তু হাবিবকে চুড়ান্ত প্রার্থি ঘোষণার পর নির্বাচন নিয়ে নেতা-কর্মীদের মাঝে কোন উৎসাহ-উদ্দিপনার দেখা যাচ্ছে না। মাঠে ময়দানে বা নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা বেগমান করার জন্য সাংগাঠনিক কোন তৎপরতা পরিলক্ষিত হয়নি।

পাশাপশি বিপুল ভোটে নৌকা মার্কার বিজয়ের লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ ও অংগ সংগঠনগুলো পাবনা-৪ আসনে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহন করেছে। প্রত্যেক নেতা ও কর্মি এলাকা ভিত্তিক ৪০ বাড়িতে গিয়ে ভোট চাইবে। এসময় শেখ হাসিনা সরকারের ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ কর্তৃক এলাকায় সম্পাদিত উন্নয়ন কর্মকান্ড তুলে ধরার উপর গুরুত্ব দিতে বলা হয়েছে।

সভায় উপস্থিত শামসুর রহমান শরীফ নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে প্রদত্ত বক্তব্যে ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগ, শ্রমিক লীগ এবং আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের পর্যাযক্রমে ৪০ বাড়ি গিয়ে ভোট প্রার্থনার উপর গুরুত্বারোপ করেছেন। উপজেলা চেয়ারম্যান মিন্টু জানান, নৌকার পোষ্টার, লিফলেট এবং ষ্টিকার ইতোমধ্যেই তৈরী হয়ে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে বিলির কার্যক্রম চলছে। আওয়ামী লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, শ্রমিকলীগ ও কৃষক লীগের একাধিক সভা ঈশ্বরদী ও আটঘোড়িয়ায় সম্পন্ন হয়েছে।

প্রচারণার জন্য পৌর, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডের সভাগুলোতে ওয়ার্ড এবং কেন্দ্র ভিত্তিক কমিটি গঠন করা হয়। আওয়ামী লীগের পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুবলীগ এবং ছাত্রলীগেরও ওয়ার্ড ও কেন্দ্র ভিত্তিক কমিটি হয়েছে। এরা সকলেই পর্যায়ক্রমে ভোটারের বাড়ি বাড়ি যাবে।

এরমধ্যে ভোট কেন্দ্রের জন্য পোলিং এজেন্ট সিলেকশনও হয়ে গেছে। প্রার্থিতার প্রত্যাহারের পর ও নির্বাচন কমিশনের সিডিউল অনুযায়ী নৌকার পক্ষে প্রচারণায় এই আসনে মহাকর্মযজ্ঞ শুরু হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। স্থানীয় ১৪ দলীয় জোটের সমন্বয়কারী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও মুক্তিযোদ্ধা নূরুজ্জামান বিশ্বাস জানান, এবারে রাজনীতির সাথে সম্পৃক্তদের পাশাপাশি বিভিন্ন পেশাজীবি সংগঠন নৌকার প্রচারণায় মাঠে থাকার জন্য ঐক্রবদ্ধ হয়েছে।

(এসকেকে/এসপি/ডিসেম্বর ০৮, ২০১৮)