বান্দরবান প্রতিনিধি : বান্দরবানের দূর্গম সীমান্তবর্তী এলাকা গুলোতে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়েছে প্রাণঘাতী ম্যালেরিয়া রোগ। থানছিতে আরো ২ শিশুর মৃত্যু। এ নিয়ে ১২ দিনে মৃতের সংখ্যা দাড়ালো ১৪ জনে। পাহাড়ে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ায় সরকারী ৪টি মেডিকেল টিমের পাশাপাশি নিরাপত্তা বাহিনীর ২টি মেডিকেল টিম ম্যালেরিয়া রোগ প্রতিরোধে কাজ করছে। ইতিমধ্যে স্বাস্থ্য বিভাগ ৮ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে।

গত এপ্রিল থেকে বান্দরবান জেলার দুর্গম এলাকা গুলোতে ম্যালেরিয়া রোগী ধরা পড়ে। কিন্তু এলাকার লোকজন স্বাস্থ্য সচেতন না হওয়ার কারণে এ রোগের প্রদুর্ভাব বাড়তে থাকে। চলতি মাসের শুরু থেকে বান্দরবানের ৭ উপজেলায় ছড়িয়ে পড়ে ম্যালেরিয়া। তবে দুর্গম থানছি উপজেলায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ডাক্তার এবং স্বাস্থ্য কর্মী না থাকায় মৃতের ঘটনা সবচেয়ে বেশী ঘটছে।
এদিকে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপি বান্দরবান সেনা রিজিয়ানের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নকিব আহমেদ চৌধুরী সাথে আলোচনা করে নিরাপত্তা বাহিনীর ক্যাম্প গুলোতে চিকিৎসা কার্যক্রম চালু করা হয়। বান্দরবান স্বাস্থ্য বিভাগ এর গঠন করা ৪টি মেডিক্যাল টিমের পাশাপাশি নিরাপত্তা বাহিনীর ২টি মেডিক্যাল টিম চালু করা হয়েছে।
গত ১২দিনে স্বাস্থ্য বিভাগের হিসেবে মতে ম্যালেরিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে থানছি উপজেলায় ৫জন লামা উপজেলায় ২ জন এবং সদর উপজেলার ডলুপাড়ায় ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন উ খ্যয় নু (৮) ক্রাইসংপ্রু (৯) চহ্লাপ্রু মারমা (৯) উ থোয়াই চিং মারমা (৫) বিরেন ত্রিপুরা (৮) জগৎ জ্যোতি ত্রিপুরা (১২) জ্যোতিময় ত্রিপুরা (১২) অংসাচিং মারমা (১৭)।
এদিকে থানছি সদর ইউপি চেয়ারম্যান মাংসার ম্রো জানান, থানছিবাসীর পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সার্বক্ষনিক ডাক্তারসহ প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগের দাবীতে কঠোর আন্দোলনে যাচ্ছে থানছিবাসী। এতে প্রাথমিক ভাবে সিভিল সার্জন অফিস এবং সদর হাসপাতাল ঘেরাওসহ সড়ক ও নৌপথ অবরোধের কর্মসুচী আসতে পারে বলেও জানান প্রতিবাদী এই ইউপি চেয়ারম্যান।


(এএফবি/অ/জুলাই ১৯, ২০১৪)