নিউজ ডেস্ক : সবারই স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। দেহে রক্ত চলাচল বাধাগ্রস্ত হলে বা রক্ত চলাচলের শিরা-উপশিরা ক্ষতিগ্রস্ত হলে স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে মস্তিষ্কের কোষ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এবং শারীরিক বৈকল্যতা দেখা দিতে পারে। এখানে দেখে নিন স্ট্রোক বিষয়ে সাতটি তথ্য।

১. স্ট্রোকের টাইপ :
বিভিন্ন ধরনের স্ট্রোক হয় আমাদের। তবে সব ধরনের স্ট্রোকেই মস্তিষ্কে ক্ষতি হয়। ইজেমিক স্ট্রোক, এম্বোলিক স্ট্রোক এবং থ্রম্বটিক স্ট্রোক এর কারণ রক্ত ঘণীভূত হওয়া। ছোট ছোট রক্তশিরা বন্ধ হয়ে যায় এবং হেমোরাজিক স্ট্রোক ঘটে।

২. লক্ষণ :
স্ট্রোকের লক্ষণ বোঝা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এটি বুঝতে পারলে একজনের জীবন বাঁচাতে পারেন আপনি। স্ট্রোকের লক্ষণ চেহারায়, হাতে এবং কথায়। কথা বলার সময় হাসি ঠোঁটের এক কোণে চলে যায়, হাত দিয়ে কিছু ধরার সময় অসুবিধা হয়। এমন হলেই চিকিৎসকের কাছে যান।

৩. নারীদের লক্ষণ :
নারীদের ক্ষেত্রে ক্লাসিক স্ট্রোকের লক্ষণ কিছুটা ভিন্ন। তাদের মুখে ও হাতে ব্যাথা, হেঁচকি, বমি বমি ভাব, বুকে ব্যথা, নিঃশ্বাসে কষ্ট এবং বুক ধড়ফড় করতে পারে।

৪. টিআইএ স্ট্রোকের বিষয়ে সাবধান :
ট্রানজিয়েন্ট ইজমেটিক অ্যাটাক স্ট্রোকের সঙ্গে যোগ হয়। এসব স্ট্রোককে মিনি স্ট্রোক বলা হয়। এরা দেহের স্থায়ী ক্ষতি না করে না। খুব অল্প সময় এসব স্ট্রোক স্থায়িত্ব পেলেও এ সময় রক্তপ্রবাহ বন্ধ হয়ে যায়। তবে এসব স্ট্রোকের কারণ বড় স্ট্রোক হতে পারে।

৫. চিকিৎসা ও আরোগ্য :
রক্তপ্রবাহের কারণে স্ট্রোক হলে প্রথম তিন ঘণ্টার মধ্যেই রক্ত চলাচল স্বাভাবিক করতে কাজ করেন চিকিৎসকরা। যদিও তিন ঘণ্টা পর এটি করা যায়, তবে তাতে বড় ধরনের সমস্যা তৈরি করে দিতে পারে। দৈহিক এবং বিভিন্ন থেরাপির মাধ্যমে রোগীর চিকিৎসা চলে।

৬. প্রতিরোধ :
শতকরা ৮০ ভাগ স্ট্রোক প্রতিরোধ করা যায়। ধূমপান ত্যাগ করা, অ্যালকোহল পান বন্ধ করা ইত্যাদি বদঅভ্যাস ত্যাগের মাধ্যমে স্ট্রোকের সম্ভাবনা থেকে দূরে থাকা যায়। এ ছাড়া অতিরিক্ত ফ্যাট গ্রহণ করা এবং কম খাওয়া ফলেও স্ট্রোক হতে পারে।

৭. যেকোনো মানুষের স্ট্রোক হতে পারে :
একটি ধারণা প্রচলিত রয়েছে যে স্ট্রোক শুধুমাত্র বড়দেরই হয়। কিন্তু এটি সত্য নয়। যেকোনো বয়সে স্ট্রোক হতে পারে। তাই আপনি যে বয়সেরই হোন না কেনো, স্ট্রোকের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিতে পারেন না। তাই সাবধানতা অলম্বন করুন।

(ওএস/অ/জুলাই ১৯, ২০১৪)