গাইবান্ধা প্রতিনিধি : ফসল আবাদে গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলা । এখানে এমন কোনো ফসল নেই, যার আবাদ হয় না। কম খরচে আবাদ ভাল। লাভও বেশি।

বিগত কয়েক বছর উপজেলার চাষিরা মধ্যবর্তী ফসল হিসেবে সরিষা আবাদ করে ব্যাপক লাভবান হয়েছেন। ফলে এবারও তারা সরিষা চাষে বেশি ঝুঁকেছেন।

পলাশবাড়ীর হোসেনপুর ইউনিয়নের রামকৃষ্ণপুর গ্রামের শামিম, মিনু, শাহিন জানান, সরিষা এমন ফসল, চাষ করলে মাটির উর্বরতা বাড়ে। এজন্য আমন ও বোরোর মধ্যবর্তী সময়ে কৃষকেরা সরিষা চাষ করেন।তারা জানান, সরিষা আবাদে কোনো সেচ লাগে না। সার এবং কীটনাশকও তেমন প্রয়োগ করতে হয় না। ফলে কম খরচে বেশি লাভ হয়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, পলাশবাড়ী উপজেলার দিগন্তজুড়ে সরিষা আর সরিষা। যেন সবুজের ওপর হলুদের সামিয়ানা। শীতের ভোরে শিশির সিক্ত হওয়ায় তাতে ফুটে উঠেছে ভিন্ন আবহ।

কৃষকেরা জানান, এক একর (দেশীয় মাপে ৩ বিঘা) জমিতে সরিষা চাষে সবমিলে খরচ হয় ১৫ হাজার টাকার মতো। প্রতি একরে ১৫ মণ সরিষা পাওয়া সম্ভব। বাজারে ২ হাজার টাকা মণ দরে বিক্রি করলেও দ্বিগুণ লাভ।এ বছর আবহাওয়া ভাল থাকায় বাম্পার ফলনের আশা করছেন চাষীরা।

কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, এবার দেবীগঞ্জে অন্তত ৬০০ কৃষককে সরিষা চাষে প্রণোদনা দিয়েছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ।
পলাশবাড়ী উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা কৃষ্ণ কুমার জানান, গতবার উপজেলায় ৭শ’ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়। এবার তা এক লাফে ৮শ’ হেক্টরে পৌঁছেছে। এবার ১৩শ’ মেট্রিক টনের বেশি সরিষা উৎপাদন হবে বলে আশা করছেন তিনি।

(এসআইআর/এসপি/ডিসেম্বর ১১, ২০১৮)